মনিরুল হক, কোচবিহারঃ একের পর এক চুরির ঘটনা লেগেই রয়েছে। পুলিশের মাথার ঘাম পায়ে ফেলার মত উপক্রম। চুরির ঘটনা কিনারা করতে পুলিশ কিন্তু বসে নেই তৎপরতার সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা কিনারা করতে পেরেছে মাথাভাঙ্গা, নিশিগঞ্জ, শীতলকুচি ও ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ। এরপরেও দিনের বেলায় মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে মাথাভাঙা শহরের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এদিন দিনের আলোয় মাথাভাঙা শহরের ময়না তুলির মোড়ে এক রাজমিস্ত্রির মোটর বাইক চুরির অভিযোগ ওঠে।
মোটর সাইকেলের মালিক মতিউর রহমানের অভিযোগ, প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করতে যায় আজও তা অন্য থা হয়নি। একটি বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলাম। বাড়ির সামনে মোটরবাইক রাখা ছিল। বাড়ির ভেতরে যেতে হয় বেশ কয়েকবার। তবে হঠাৎ বাড়ির বাইরে এসে দেখি আমার বাইক উধাও।অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি হন্যে হয়ে নানা জায়গায় দেখেছি কোথাও আমার মোটর সাইকেলটি খুঁজে পেলাম না।অবশ্যই নির্দ্বিধায় বলতে পারি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে গেছে।
এবিষয়ে মতিউর রহমান মাথাভাঙা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোটর সাইকেলটির বিষয়ে। উল্লেখ্য এর আগেও মাথাভাঙা শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে দিবালোকেএকটি মোটর সাইকেল চুরি হয়ে গেছে। এখন মোটরসাইকেল লক করা থাকলেও সেটি একশ্রেণীর দুষ্কৃতকারী পোক্ত চোর এভাবে মোটরসাইকেল চুরি করার পথ অবলম্বন করে নিয়েছে। এতে শহর থেকে গ্রামের মানুষ সকলেই আতঙ্কিত।
এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা থানার আইসি ভাস্কর প্রধান বলেন, মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে মোটরসাইকেলটির খোঁজে ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তবে যে যাই বলুক পুলিশ কিন্তু প্রতিটি চুরির ক্ষেত্রেই যথেষ্ট নিষ্ঠার সঙ্গে শ্রম দিয়ে চুরির কিনারা করতে সমর্থ হওয়ার কাজে হাত লাগিয়েছে। বেশ কিছু চুরির কিনারা ও করতে পেরেছে। তারপরেও কেন যেন চুরির সংখ্যা বাড়ছে কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।