নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: গিধনির বাপের বাড়ি থেকে গভীর রাতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল শ্রম দপ্তরের মহিলা কর্মী শিল্পী মুখার্জীর! ৩৪ বছর বয়সী শিল্পী ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের শ্রম দপ্তরের এসএলও অর্থাৎ সেলফ এমপ্লয়ইড লেবার অর্গানাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালের জামবনি ব্লকের গিধনির বাসিন্দা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিল্পীর বিয়ে হয়। তাদের পনেরো বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। গত দু’মাস আগে হঠাৎই শিল্পী তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে চলে আসে। শুক্রবার গভীর রাতে বাপের বাড়িতে শাড়ির আঁচলের ফাঁসে পাখা থেকে ঝুলতে দেখেন শিল্পীর বাবা-মা। তারপর দেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাস খানেক আগে রিলিজ হওয়া ঝাড়গ্রাম জেলা শ্রম দপ্তরের তথ্যচিত্রে মূল চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন শিল্পী। কিন্তু কি কারণে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তাঁর বাবা। স্বামী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন,‘মানসিক অবস্থা ভালো নেই। একদিন সময় দিন সব বলব।’ পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও জামবনি থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।