মনিরুল হক, কোচবিহারঃ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বাঁশের সাঁকো। এখন ভরসা সেই ডিঙ্গি নৌকা। শুক্রবার থেকেই মাথাভাঙা ১ ব্লকের জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসানের ঘাটের দুপারের বাসিন্দাদের জন্য সেই ডিঙ্গি নৌকা চালু হয়েছে। বাসিন্দাদের আক্ষেপ,প্রায় তিন দশক ধরে হাসানের ঘাটে স্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়ে আসলেও আজও তা অধরা। তাই বাসিন্দাদের আজও সকাল ৬ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নৌকার উপড়েই নির্ভর করতে হয়।
মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের জোড়পাটকি গ্রামপঞ্চায়েতের আমতলা বাজার ও শিবপুরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ধরলা নদী।শীতকালে ঘাটে বাঁশের সাঁকো বাঁধা হয়। সেটা দিয়েই মানুষ যাতায়াত করে থাকে। অন্যদিকে বর্ষায় জল বাড়লে ভেসে যায় বাঁশের সাঁকো। তখন নৌকাই ভরসা। স্থানীয় প্রশাসন নিলামে তুলে এই ঘাট। ফলে সারা বছর গাটের কড়ি খরচ করেই নদী পারাপার হতে হয় গ্রামবাসীদের। প্রত্যেক নির্বাচনে ইস্যু হয়ে ওঠে ওই সেতুর দাবি। তখন আশ্বাসও মেলে অনেক। কিন্তু ভোট ফুরালেই সবাই ভুলে যায় বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
গ্রামবাসীরা জানান, সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় এখন রাতে কেউ অসুস্থ্য হলে অনেকটা ঘুর পথে যেতে হবে শহরের হাসপাতালে। ধরলা নদী দিয়ে আরও কত গ্যালোন জল বইলে তবে নতুন পাকা সেতুর দাবি পূরণ হবে এই প্রশ্নের উত্তর খুজে চলছে জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।