আম-কাঁঠালের গন্ধ মাখা তপ্ত প্রখর জ্যষ্টি ,
আজ যে শুভ জামাইষষ্ঠী।
শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে জামাই ষষ্ঠী ব্রত,
নিয়ম-নীতি- আচার কত শত।
শোনো শোনো পাঠক বন্ধু,
শোনো দিয়ে মন,
জামাইষষ্ঠীর ইতিবৃত্ত লিখছি এখন।
এক গৃহবধূ স্বামীগৃহে মাছ চুরি করে খেত,
মা ষষ্ঠীর কালো বিড়াল দোষটি পেত।
কালো বিড়ালে করল নিদারুণ আঘাত,
সংসারে ঘটলো তাদের অমঙ্গল, ব্যাঘাত।
গৃহবধূর সন্তান চুরি করলো কালো বিড়াল,
লুকিয়ে রাখে সন্তান বনে মা ষষ্ঠীর আড়াল।
ক্ষমা চাইল মা ষষ্ঠীর কাছে,
সন্তান যেন ফিরে আসে তাদের কাছে।
ষষ্ঠী পূজার আয়োজন করেন গৃহবধূ,
ফল-মূল , দূর্বাঘাস, হলুদ- সুতা, ঘি, দূধ ,পান আর মধু।
মাছ চুরির অপরাধে বাপের বাড়ি যাওয়া বন্ধ,
পিতা-মাতা কেঁদে কেঁদে যেন হলো অন্ধ।
মেয়েকে আনার উদ্দেশ্যে মা-বাপে করল জামাই ষষ্ঠী,
আম কাঁঠালের গন্ধে মাথা এই তপ্ত প্রখর জ্যষ্টি।
মেয়ে- জামাইকে জানানো হলো আমন্ত্রণ,
ভেঙ্গে গেল মেয়ের শাশুড়ি মায়ের ধনুক ভাঙ্গা পণ।
সেই দিন থেকে জামাইষষ্ঠী প্রচলন,
এ সকল জানেন গুণীজন।
হরেক রকম রান্না- বান্না, মাছ ,মাংস ,মিষ্টি, দই।
ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে হাতে পড়বে গলদা, ইংলিশ, কই।
ভালো ভালো খাবার খেয়ে জামাইয়ের খুব মজা,
গরিব শ্বশুরবাড়ির পক্ষে এ যে সমাজ বিধির সাজা।
শুধু কেন জামাইষষ্ঠী, বধু ষষ্ঠী কেন নয়?
পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিরকাল কি হবে জয়??