নাগরাকটায় বুনো হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত চারটি কাচা বাড়ি সহ একটি সুপারি বাগান।

0
228

ডুয়ার্স, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- জঙ্গলে খাদ্যের অভাব গ্রামে হাতির হানা অব্যাহত। একরাতে খাবারের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে হানা দিলো ৩০-৪০ টি হাতির একটি পাল। তছনছ করে দিলো চারটি বাড়ি সহ একটি সুপারি বাগানের অর্ধেক অংশ।লাগাতার এভাবে গ্রামে হাতির হানায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।বন দফতরকে ফোন করলেও সময় মতন আসেন না বলেই অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

শনিবার গভীররাতে ঘটনাটি ঘটেছে নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাসা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পলাশবাড়ী ও শান্তিমোড় এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে হাতির পালটি ডায়না ও মোরাঘাট জঙ্গল থেকে এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলেই অনুমান। রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেকেই এদিন হাতির পাল হানা দিলেও টের পায়নি।

শান্তিমোড় এলাকার বাসিন্দা নিশান থাপা জানান, রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির কারণে হাতির পাল বাড়ির পেছনে সুপানি বাগানে হানা দিয়ে বাগানের অর্ধেক অংশ তছনছ করে দিলেও আমরা কেউ টের পাইনি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই লক্ষ্য করলাম আনুমানিক চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি সুপারি গাছ ফেলে দিয়েছে। পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে ত্রিশ থেকে চল্লিশটি হাতির পাল ঢুকেছে। মধ্যে মধ্যেই এভাবে হাতির পাল এলাকায় ঢুকে পড়ছে। বন দফতরের কর্মীদের খবর দিলেও সময় মতন আসেন না।

সূত্রের খবর,পলাশবাড়ী এলাকায় চারটি বাড়ি তছনছ করে কৃষকের চাষের জমির ওপর ভুট্টা ক্ষেতেও বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

যদিও শনিবার রাতে ওই এলাকায় হাতির পাল লোকালয়ে ঢুকে পড়ার কোনো খবর তাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি বলেই বন দফতরের সূত্রে খবর।তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন বন দফতরের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় রেঞ্জ অফিসে প্রমাণ স্বরূপ আবেদন করলে ক্ষতিপূরণের পাইয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হবে।