আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, সকাল থেকে দুপুর বিক্রি করেন খবরের কাগজ, লোকের বাড়ি বাড়ি এবং দোকানে দোকানে। দুপুরে বাড়ি ফেরেন তারপর নাকে মুখে দুটো কোনো রকমের দিয়েই বসে পড়েন কাঠ, ছেনি, হাতুড়ি ইত্যাদি কাঠ কাটার সরঞ্জাম নিয়ে।, তারপর দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকাল শেষ হয়ে রাত্রি, অমল খাঁনের হাত চলে সমানতালে। শিল্পীর হাতে এক একটি কাঠের টুকরো একা একটি জীবন্ত প্রতিকৃতি তৈরি হয়। শিল্পীর হাতে হাতুড়ি-বাটালির মৃদু ঠুক ঠাকে প্রাণ পায় বিবেকানন্দ, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষী, মহাদেবর মতো দেব-দেবী এবং মহাপুরুষ। সংসারের জন্য কঠিন সংগ্রাম তাইতো করেন কাগজ বিক্রি, তারপরও শিল্পীর হাতের জাদুতে প্রাণ পায় কাঠ। সাংবাদিক আবদুল হাইয়ের ক্যামেরায় এ রকমই এক বিরল প্রতিভা উঠে এলো বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের ফতেপুর গ্রামে। শিল্পীর নাম অমল খাঁ।
জানা যায় দীর্ঘ প্রায় 15 বছর তিনি এই কাঠের শিল্প তৈরি করে মানুষের ভালোবাসা এবং সামান্য অর্থ দুটোই উপার্জন করেছেন, বৃহৎ ভাবে উঠে আসার জন্য চাই সেই ধরণের পৃষ্ঠপোষকতা যা তিনি আশা করেন সরকার বাহাদুরের কাছে।