নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এক গৃহবধুর রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য যদিও গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ ওই গৃহবধূকে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি শান্তিপুর থানা এলাকার গো ভাগাড় মোড় সংলগ্ন এলাকায়। জানা যায় মৃত গৃহবধূর নাম সোনালী দাস, বয়স আনুমানিক ২১ বছর। ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি কলকাতার বিধান নগরে। ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির দাবি, গত তিন বছর আগে শান্তিপুর গো ভাগাড় এলাকার যুবক সৌভিক দাস এর সাথে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা ওই গৃহবধূর উপরে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করে। ওই গৃহবধূর স্বামী সৌভিক দাস মাঝেমধ্যেই পণের দাবিতে চাপ সৃষ্টি করে ওই গৃহবধূকে। ওই গৃহবধূ তার পরিবারকে জানালে বেশ কয়েকবার টাকা পয়সা দেয় সৌভিক দাস কে। তারপরও ওই গৃহবধূর উপরে আবারো মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করে তার স্বামী। গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎই ওই গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শান্তিপুর হাসপাতলে নিয়ে যায়, বেশ খানিকটা সময় প্রাথমিক চিকিৎসা চলার পরে ওই গৃহবধূকে মৃত বলে জানায় চিকিৎসকেরা। মৃত্যুর খবর গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর পরিবারকে না দিলেও অন্য মাধ্যমে খবর পাই ওই গৃহবধূর পরিবার। খবর পাওয়া মাত্রই শান্তিপুর হাসপাতালে এসে পৌঁছায় ওই গৃহবধূর পরিবার। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে মেরে ফেলে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। এর পরেই গৃহবধূর পরিবার ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এছাড়াও ওই গৃহবধূর কিভাবে মৃত্যু ঘটলো তার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ, পাশাপাশি শনিবার ওই গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। যদিও ময়না তদন্তের পরই ওই গৃহবধূর কি কারণে মৃত্যু তা স্পষ্ট জানা যাবে। স্বভাবতই গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।