খড়গপুর শহরে চা চক্রে যোগ দিয়ে একাধিক প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্যকে নিশানা দিলীপ ঘোষের।

0
370

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  রবিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে মর্নিং ওয়াক সেরে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ । সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকারের উপর তোপ দাগলেন তিনি, তিনি মুর্শিদাবাদে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন যখন কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল তখন এখান থেকে বহু নেতা-নেত্রী চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন, পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে আপনারা কেন বন্ধ করেছেন? কেননা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। যাতে এই রকমের দুষ্কৃতীরা রাস্তায় বেরিয়ে উৎপাত করতে না পারে তার জন্য পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, পুলিশ কিন্তু সেই কাজ করছে না বলেই অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ । অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন মানুষকে তো আর মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া যায় না, কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবা উচিত যে পশ্চিমবাংলা কে ভারতবর্ষের সঙ্গে রাখতে গেলে হয়তো কেন্দ্রীয় বাহিনী বা সেনা দিয়েই করতে হবে । এদিকে এই পরিস্থিতিতে বেশকিছু পুলিশের রদবদল ঘটেছে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটাতো মমতা ব্যানার্জি লোকের আই ওয়াশ করছে, কিছু করতে পারেন না শুধু কিছু পুলিশ অফিসার কে ট্রানস্ফার করে দেন । যেখানে পাঠিয়েছেন সেখানে গোলমাল হলে আবার সেখান থেকে এখানে পাঠিয়ে দেবেন। পুলিশ তো তার কাজ করার চেষ্টা করে বা করতে চাই । কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পুলিশকে ঠুটো জগন্নাথ বানিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে তাই এত উৎপাত বাড়ছে খুন-জখম ধর্ষণ বাড়ছে । পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে । পুলিশ নিজের থেকে কিছু করেনা কারন তাদেরও মার খাওয়ার ভয়ে আছে । কারণ সরকার চায় না এগুলো বন্ধ হোক কারণ এরাই এদের ভোট জেতায় ।
পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেন সরকার কিছু করছে না তার ফলে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন । অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন রাজ্যসভার ভোট হয়ে গেল আপনারা দেখলেন বিজেপি ডেং ডেং করে জিতে বেরিয়ে গেল বিরোধী দলগুলোর কি অবস্থা । মমতা ব্যানার্জিকে সিপিআইএমের হরিজিৎ সিং সুরজিৎ এর ভূত চেপেছে সিপিএম যখন এখানে ক্ষমতায় ছিল সকাল থেকে উনি উঠে এদিক ওদিক ঘুরে তৃতীয়, চতুর্থ ফ্রন্ট বানানোর চিন্তা করতেন, এই করতে করতে সিপিএম পার্টিটাই উঠে গেছে । মমতা ব্যানার্জিও যদি সর্বভারতীয় নেত্রী হতে যা আর পশ্চিমবাংলায় আগুন জ্বলে থাকে , তাহলে পরের ইলেকশনে মানুষ তাকে বিসর্জন দেবে। প্রধানমন্ত্রী আপনি জীবনে হতে পারবেন না পশ্চিমবাংলায় মুখ্যমন্ত্রী করেছে লোকেরা তাও হেরো মুখ্যমন্ত্রী । আপনি বাংলা টাকে সামলান, নাহলে এটাও হাতের বাইরে চলে যাবে । তারপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন শুনলাম খরগোপুর মেদিনীপুরেও বাইরের থেকে লোক নিয়ে এসে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা চলছে আর এটা যদি হয় তাহলে বিজেপি চুপ করে বসে থাকবেনা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ প্রয়োজনে প্রতিরোধ করবে ।