মিলের দূষিত জল খালে! ফলে শতাধিক কচ্ছপ সহ মাছ মৃত অবস্থায়,এলাকায় আতঙ্ক।

0
250

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গাফিলতি কারনে জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য হারাচ্ছে মানবকূল। দূষিত জল বেরিয়ে এক হাজারের বেশি বিলুপ্ত প্রায় কচ্ছপ ও মাছের মৃত্যু ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। ঘটনার পর কার্যত এলাকায় উত্তাল।এমনি নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ ব্লকের দেবেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। অবিলম্বে ওই রাইস মিল বন্ধের দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গোটা এলাকায় নতুন করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা,
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ ব্লকের দেবেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় একটি বেসরকারি রাইস মিল রয়েছে। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ওই রাইস মিলের জল ড্রেন সাহায্যে খালের জলে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোন পরিশোধন ছাড়া হয় বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। বুধবার আসে বিপত্তি। এই খালের জল পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের জল গিয়ে কালীনগর খালের জলে মিলিত হয়। তারপর সেখান থেকে সমুদ্রে যায়। বুধবার সাতসকালে নজরে আসে কয়েক শতাধিক কচ্ছপ ও মাছ মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা চোখে পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ। কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ধান জমি ও খালের জলে মৃত কচ্ছপের স্তুপ হয়ে পড়ে রয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সুরঞ্জন দাস বলেন ” রাইস মিলের গাফিলতি কারণে জীব বৈচিত্র আমরা হারাতে বসেছি। বর্জ্য পদার্থ কোনরকমে পরিশোধন না করেই খালে জলে ছেড়ে দেন রাইস মিল। পরিবেশকে আমাদের বাঁচাতে হবে। পরিবেশ নষ্ট হলে আমরা কেউ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবো না। রাইস মিল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে “। অন্যদিকে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত জানা বলেন ” এই অভিযোগ একাধিকবার প্রধানের কাছে গেছে৷ এই অভিযোগ শুধু জনগণের নয় আমারও অভিযোগ রয়েছে৷ রাইস মিলের জল পরিশোষন না করেই খালে জলে ফেলা দেওয়া হয়। আমি চোখে দেখেছি৷ খালের জলে শতাধিক কচ্ছপ মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে “। যদিও এই সম্বন্ধী রাইস মিলের ম্যানেজার দীপক পণ্ডা বলেন ” কচ্ছপ মারা গেছে নাকি জানিনা। আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম৷ এখানকার জল নাকি অন্য কোথাও জলের কারণে এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে হবে “।
পাশাপাশি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্য বিজেপি সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন ” রাজ্যের সমস্ত উদ্যোগ এখন তলানিতে গেছে। রাজ্যে এখন শিল্প নেই। রাজ্যের যে কয়টি শিল্প রয়েছে তার নজরদারির ব্যবস্থা করছে না রাজ্য। তিনি একটি কটাক্ষ সুরে বলেন ” রাইস মিলের চাল তৈরি হয় নাকি বোমা তৈরি হয়? তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবী জানাই “।

কাঁথি বনদপ্তরের আধিকারিক বলরাম পাঞ্জা বলেন “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। অন্যান্য কর্মীদের পাঠানো হয়েছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে “।