ফেসবুকে আলাপ, ভারতের ছেলে বাংলাদেশের মেয়ের শুভ পরিণয় ঘটলো তমলুকের মা বর্গভীমাকে স্বাক্ষী রেখে।

0
1850

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :– ২০১৯ সালে ফেসবুকে আলাপ। পড়াশোনা বিষয়ে কথাবার্তা। কোভীডের লকডাউনের কারনে ফেসবুকেই কথাবার্তা চলতে থাকে। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কোভীদ পরিস্থি স্বাভাবিক হওয়ায় উঠে যায় লকডাউন। প্রেমের টানা বাংলাদেশ থেকে ছুটে আসে ঝুমা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের সতীর ৫১ পীঠের একপীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে মালাবদল করে ভারতের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের ডিমারীহাট এলাকার যুবক মানস মাজির সাথে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার গাজিপুর এলাকার ঝুমা মালবপ্রভার সাথে বিয়ে হয়। বাঙালি রীতি মেনে বর কনের সাজে আত্মীয়-পরিজনের উপস্থিতিতে মহা ধুমধামের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়। ঝুমার পরিবারের লোকজনেরা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। মেয়ের আবদার রাখতেই বাংলাদেশ থেকে ছুটে আসেন ঝুমার পরিবারের সদস্যরা। সরকারি আইন মেনে ঝুমা এবং মানসের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ফেসবুকে আলাপের পর একে অপরকে কাছে পেয়ে বেজায় খুশি তারা। তারা ভাবতে পারেনি দুজনে এক হয়ে সংসার করবে। বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষ অয়ন অধিকারী জানান, প্রায় প্রতিদিন বর্গভীমা মাকে সাক্ষী রেখে বহু বিবাহ হয়ে থাকে। তবে আজকের এই বিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ দুই দেশ ভারত ও বাংলাদেশের মেলবন্ধন ঘটলো। বয়সের বৈধ কাগজপত্র ও পরিবারের সম্মতিক্রমে মন্দিরে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। মন্দিরে বিয়ের পর মানসের বাড়িতে ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়। মানস ও ঝুমার সম্পর্কের মতো দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়ে উঠুক এই কামনা করেন বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।।