প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : গ্লোবাল কায়স্থ কনফারেন্স এবং কদম সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাঙ্গালীদের নতুনভাবে প্রতিভার প্রতিষ্ঠা করা। এবং যেসব মহান বাঙালি ব্যক্তি স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের জন্য বিভিন্ন ভাবে বাংলা কে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বা বাঙ্গালীদের নাম সু নামে সহিত প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের প্রকৃত সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া। যেমন সবচেয়ে বেশি তারা প্রাধান্য দিচ্ছেন ডঃ বিধান চন্দ্র রায়, প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ, এবং মাস্টারদা সূর্যসেন। এই তিন মহান ব্যক্তিদের নামে তারা কেন্দ্র সরকার কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে যেন এই তিনজনের নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। এছাড়াও উদ্বাস্তু কায়স্থ সম্প্রদায়ের জন্য পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণের দাবি জানান। তিন মহান ব্যক্তি নামে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কেন্দ্র সরকারের কাছে এই সংগঠন দাবি করেছেন তা হল (১) তাকেশ্বর প্রফুল্ল চন্দ্র কৃষি বিদ্যালয় (২) নদীয়াতে মাস্টারদা সূর্যসেনের আইন বিশ্ববিদ্যালয় (৩)জ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় নলেজ নলেজ ইউনিভার্সিটি শিলিগুড়ি ডা: বিধানচন্দ্র রায় নামে বিশ্ববিদ্যালয় । প্রেস ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি রাজীব রঞ্জন, মহিলা নেত্রী রাগিনী রঞ্জন, পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের সভাপতি অশোক দাস সহ সংগঠনের আরও বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনের সভাপতি অশোক দাস তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন ১৯৪৬/১৯৪৭সাল থেকে যে সকল কায়স্থ উদ্বাস্তু বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে বসবাস করছেন তাদের প্রকৃত কর্মসংস্থান করা। সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয় এই সংগঠন সারাবছরই গোমাতা এবং বৃক্ষরোপনের কাজে ব্রতী থাকেন। এছাড়াও মহিলানেত্রী রাগিনী রঞ্জন তিনি মহিলাদের উন্নতি সাধনের জন্য এবং মহিলাদের দাবি-দাওয়া আগার জন্য সর্বদা এই সংগঠন কাজ করে থাকেন। সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি বললেন পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার দশ কোটির মধ্যে তিন কোটি কায়স্থ সম্প্রদায়ের ব্যক্তি দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে তাদের উপর দিকে না নিয়ে গেলে অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নতির স্তরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটা প্রশ্নচিহ্নের দাঁড়াবে। তাই কেন্দ্র সরকারের কাছে অনুরোধ 5% সংরক্ষণ দিয়ে এই দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা ব্যক্তিদের অগ্রগতির পথে কান্ডারী হবার সুযোগ করে দিন। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধান সংশোধন করে নতুন ভিলেন এই পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নতি সাধনের জন্য পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেন।