মনিরুল হক, কোচবিহারঃ নিজেদের যে কোন রকম দাবি পুরনে বিক্ষোভ বা ধর্নায় বসা যেন একটা ধারা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাম্প্রতিক কালে। তা সে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়া হোক অথবা ছেড়ে যাওয়া প্রেমিক প্রেমিকা কে ফিরে পেতে অহরহ ধর্নায় বসার খবর পাওয়া যায় আজকাল।
মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের কুর্শামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়ারপাড়ে প্রেমিকের সঙ্গে সুখে ঘর করার স্বপ্নও দেখেছিল শীতলকুচি ব্লকের সাঙ্গারবাড়ি এলাকার এক যুবতী। প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় স্বপ্ন ভেঙে চৌচির হয়ে যায় ওই জুবতির।এলাকায় বিসয়টি জানাজানি হতে বসে সালিশি সভা কিন্তু তাতেও রফা না হওয়ায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন যুবতী।
বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীটি বিয়ের দাবি নিয়ে শনিবার রাতে দলুয়ারপাড়ে ওই যুবকের বাড়িতে এসেছিলেন। যুবক সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। শনিবার তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ওই বাড়িতে রাতও কাটিয়েছেন যুবতী। কিন্তু যুবক তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাঁর বাড়ির সদস্যরাও বেঁকে বসায় বিড়ম্বনায় পড়েন যুবতী। এদিন সকালে যুবক ও যুবতীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুর্শামারি বাজার চত্বরে বৈঠকে বসেন স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বের না হওয়ায় এদিন বিকালে যুবকের বাড়ির সামনে বাঁশের চাতালে ধর্নায় বসেন যুবতী। ঘটনা চাউর হতেই ওই বাড়ির সামনে স্থানীয়দের ভিড় বাড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশও। এদিকে, দুয়ারে প্রেমিকা হাজির হওয়ায় প্রেমিক উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি এদিনই কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছেন।
যুবতীর দাবি,ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর বছর খানেক ধরে প্রেম চলছে, তাঁর দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাবে বলে জানায় ওই যুবতি। যুবতীর এক আত্মীয় অবিনাশ বর্মন জানান, যুবতী ন্যায়বিচার পাবেন বলে তাঁদের বিশ্বাস। এদিকে, যুবকের মা পরিস্কার বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে যুবতীর কোনও সম্পর্ক নেই।দাবীর সমর্থনে ওই যুবতী যদি কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেন তাহলে এই বিয়ে তাঁরা মেনে নেবেন।
স্থানীয় তৃনমূল নেতা তবারক হোসেন বলেন, এক পক্ষ বেঁকে বসায় বৈঠকে কোনও সুরাহা হয়নি।