সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দুই মেয়ে আর এক ছেলেকে নিয়ে সংসার। রবিবার রাতে ঘড়ির কাঁটা তখন সাতটার ঘরে।ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দনগরের বাসিন্দা রানু মন্ডল রান্না করছিলেন। পাশেই বিছানা শুয়ে খেলা করছিলো তার কুড়িমাসের শিশু পুত্র শিবম। আচমকা চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে। কেন কাঁদছে ভেবে উঠতে পারছিলেন। মুহূর্তে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।এরপর রানু দেবী দেখতে পায় তার শিশুপুত্রের নাকের ডানদিকের ছিদ্রে শিমূল তুলোর দানা আটকে রয়েছে। তিনি নাক থেকে দানা টি বের করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন। পরে তার স্বামী বাসুদেব মন্ডল কে ফোন করে ঘটনার কথা জানায়।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি কাজে থেকে তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরে আসেন।একরাশ উদ্বেগ নিয়ে প্রবল বর্ষণের মধ্যে বাইক চালিয়ে শিশুপুত্র কে নিয়ে রাত দশটার সময় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজির হন চিকিৎসার জন্য।
সেই মুহূর্তে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করছিলেন নাক-কান-গলা বিশেষঞ্জ চিকিৎসক অভিষেক বিশ্বাস। তিনি ঘটনার কথা শুনে ওই শিশুর চিকিৎসা শুরু করেন।তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশান থিয়েটার রুমে। তখন ওই শিশুর পরিবারের বাড়ির লোকজন চিন্তায় আরো মুসড়ে পড়েন। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার নাক থেকে শিমূল তুলোর দানা বের করতে সক্ষম হয় চিকিৎসক অভিষেক বিশ্বাস।অপারেশান থিয়াটাটের দরজা খুলে বেরিয়ে আসতেই শিশু পুত্রকে দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন মন্ডল পরিবার।
শিশুর মা রানু মন্ডল জানিয়েছেন ‘শিমূল তুলোর বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে খেলা করছিলো শিবম। কখন বালিশের মধ্যে থেকে তুলোর দানা বের করে খেলছিলো। আচমকা নাকের মধ্যে দিলে তা আটকে যায়।চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। কপাল ভালো সেই মুহূর্তে ইএনটি বিশেষঞ্জ চিকিৎসক জরুরী বিভাগে ছিলেন। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো।চিকিৎসক কে অসংখ্য ধন্যবাদ।’