মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বামনগোলা ব্লকে মানুলীর মন্ডল পরিবারের উদ্যোগে,এবং ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখা, পাকুয়াহাট সমবেতে প্রয়াস ও সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্স মালদার সহযোগিতায়, বিবাহ বাসরে রক্তদান ও থ্যালাসেমিয়ার অভিনব বার্তা প্রচার । প্যান্ডেলের মূল গেট ও অভ্যন্তর ভাগ যেভাবে বিভিন্ন ধরনের রক্তদান ও থ্যালাসেমিয়ার পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল তা দেখে কে বলবে বিবাহ বাসর ? মনে হচ্ছে জেন রক্তদান ও থ্যালাসেমিয়ার প্রদর্শনী কক্ষ। সুদূর কাশিমপুর থেকে এই বিবাহে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেশায় শিক্ষক, নিয়মিত রক্তদাতা শ্রী দিলীপ সরকার তিনি প্রথমেই দেখে তো নিজে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন, বিবাহ বাসরে সামাজিকতার বার্তা, সমাজ চেতনার বার্তা।
তিনি বলেন যে বিবাহের পূর্বে প্রত্যেক পাত্র-পাত্রী রক্ত পরীক্ষা জরুরী, এই বিয়ে বাড়িতে এসে নতুন কিছু শিখলাম গতকাল বামনগোলা ব্লকের মানালি মন্ডল পরিবারের অন্যতম সদস্য জয়শ্রী মন্ডলের সঙ্গে গাজোল ব্লকের সাহাবোল নিবাসী দীপাল সরকারের সঙ্গে বিবাহ বাসরে উপস্থিত সকল অতিথি ও বরযাত্রীদের নিয়ে বসে ঘরোয়া প্রাথমিক রক্ত বিজ্ঞান ও থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক আলোচনা সভা। মুখ্য আলোচনা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুরজিৎ মন্ডল সমাজকর্মী ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখা, জয়ন্ত বর্মন, অর্ঘ্য সিংহ ও শংকর সরকার যথাক্রমে সম্পাদক, সহ-সম্পাদক, সভাপতি উত্তরণ মানুলী মালদা। শুভ বিবাহ কাজটি সম্পন্ন করতে যেসকল সমাজ বন্ধু, পুরোহিত ডেকোরেটর, ক্যাটারার মঙ্গলচন্ডীর গায়েন, ক্যামেরাম্যান, ব্যান্ড পার্টির সঙ্গে রক্তদান ও থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে ভাব বিনিময় করা হয় বিবাহ বাসরে। অতিথি হিসেবে আগত পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত দীপেন বর্মন বলেন যে সরকার রুপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে, সেখানে ফর্ম ফিলাপের সময় ডকুমেন্টারি হিসেবে থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করলেই কাজটা অনেক সহজ হতো। ভারত স্কাউটস্ এন্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখার জেলা রক্তদান শিবির আহ্বায়ক অনিল কুমার সাহা জানান মালদা জেলায় হবিবপুর, বামনগোলা ব্লকে থ্যালাসেমিয়া বাহক এর সংখ্যা শতকরা প্রায় ৩৫ শতাংশ। আমাদের অভিনব সচেতনতা বার্তার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বামনগোলা ব্লকের মানুলীর মন্ডল পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।