নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা : – ১৮ জন শিল্পীর সমন্বয়ে তৈরি অঙ্কুশ নামক একটি আর্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এর হলে হয়ে গেল ফটো এক্সিবিশন। শিল্পীরা তাদের দীর্ঘ পরিশ্রমের সুনন্দন দৃষ্টি মধুর চিত্রকলা আপামর জনসাধারণের সামনে প্রস্ফুটিত করলেন। তাদের মননশীল সৃষ্টি কলা সৃজনশীল ব্যক্তিদের সামনে তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই এক্সিবিশন। বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত শিল্পীরা তাদের কলাকুশলী প্রদর্শন করলেন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এর কক্ষ গৃহে। সোমা ঘোষ বেহালা, রানু হালদার গলফ গ্রীন, অদিতি মুখোপাধ্যায় বেলুড় মঠ হাওড়া, সন্দীপ চক্রবর্তী গলফ গ্রীন কলকাতা, রিতা পাল যাদবপুর, রঞ্জিত বাগ বর্ধমান, অমিতাভ লাহিড়ী মুর্শিদাবাদ, অনিন্দিতা দাস গড়িয়া, মধুমিতা দত্ত বারুইপুর, মৌসুমী রায় যাদবপুর, গীতালি ব্যানার্জি যাদবপুর সন্তোষপুর, অভিজিৎ চ্যাটার্জি দমদম, অয়ন চক্রবর্তী কলেজ স্টিট কোলকাতা, মানবেন্দ্র ঘোষ কলকাতা, নিতাই সামন্ত উদয়নারায়নপুর হাওড়া, অভিজিৎ চক্রবর্তী সল্টলেক কলকাতা, উত্তম অধিকারী বারাসাত কলকাতা, সমগ্র এক্সিবিশনটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রিতা পাল। শিল্পীদের গলায় আক্ষেপের সুর শোনা গেল তেমনভাবে তাদের সৃষ্টি ছবি বাণিজ্যিক না হওয়ায়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গণ যদি তাদের ছবি ক্রয় করেন তাহলে তাদের আর্থিক দিক থেকে একটু স্বচ্ছলতা আসবে। তারা এও বললেন রাজ্য সরকার যদি তাদের দিকে দৃষ্টি আরোপ করেন তাহলে তাদের শিল্পকলা নতুনভাবে তৈরি করতে আরও উৎসাহ জোগাবে। বর্তমান প্রজন্ম আরো এগিয়ে আসবে এই শিল্পকলাকে ভালোবেসে। বর্ষিয়ান শিল্পী অভিজিৎ চক্রবর্তী বললেন বড় শিল্পপতিরা এবং কর্পোরেট হাউসের ব্যক্তিরা যদি কলকাতার শিল্পকলার দিকে একটু তাকান, কলকাতা শিল্পীদের আঁকা ছবি কলকাতাতেই যদি ক্রয় করেন তাহলে কলকাতা শিল্পীরা আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল হবে। তিনি এও বললেন তাদের বন্ধুরা বোম্বাই গিয়ে যে এক্সিবিশন করে তাতে কলকাতার ব্যবসায়ীরা মুম্বাইয়ে গিয়ে সেই ছবি কিনে আনেন কিন্তু কলকাতায় এক্সিবিশন হলে তাদের আঁকা ছবি কোলকাতার কর্পোরেট হাউসের ব্যক্তিরা বা বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিসরা এই ছবি ক্রয় করেন না। এটা আপনাদের কলকাতার শিল্পীদের বড়ই আক্ষেপ।