বিয়ের তিন দিন বাকি ছিল। বিয়ের জন্য কেনাকাটাও প্রায় শেষ, কিন্তু এরই মধ্যে ওই যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।

0
210

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- বিয়ের তিন দিন বাকি ছিল। বিয়ের জন্য কেনাকাটাও প্রায় শেষ। কিন্তু এরই মধ্যে ওই যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ তাদের বাড়ির ছেলেকে কেউ বা কারা খুন করে আমবাগানের গাছে টাঙিয়ে দিয়েছে।এর পিছনে পরকীয়ার আশঙ্কাও থাকতে পারে বলে মনে করছে পরিবার।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুয়া- আজিমপুর গ্রামে। মৃত যুবকের নাম সদাকাস আলী(২৪)। সে বাড়ির ছোট ছেলে ছিল।সদাকাস আত্মহত্যা করতে পারে তা মানতে নারাজ পরিবারের লোক। আজ সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর বিরুয়া আজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের আট ছেলে। সাদাকাশ সব থেকে ছোট। আগামী রবিবার তার বিয়ে ছিল। বিয়ের সমস্ত কেনাকাটা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। বুধবার যুবক চাঁচল থেকে বিয়ের বাজার করে এসেছে।

পরিবারের লোকেরা জানায় বুধবার সন্ধ্যা বেলা সদাকাশের একটি ফোন আসে। সে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ। বাড়ির লোক সারা রাত ধরে এলাকায় খোঁজ খবর চালিয়েও ছেলের কোন খোঁজ পাইনি। আজ সকালে গ্রামের একটি আমবাগান থেকে সদাকাসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকের দাবি তাদের বাড়ির ছেলেকে খুন করে গাছে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।পরিবারের লোকের আরো আশঙ্কা যে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল হয়তো তারই কোনো পুরোনো প্রেমিক পথের কাঁটা সরাতে এই কাণ্ড করে থাকতে পারে। সমস্ত বিষয় পুলিশকে খতিয়ে দেখার জন্য আবেদন করেছেন বাড়ির লোক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে। ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।