মল্লিক বাজারের ঘটনা নিয়ে পাঁশকুড়া থেকে রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

0
333

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  ওদের কাজ কালী ঘাটের দুটি বাড়ির সামনে পাহারা দেওয়া আর বিজেপির নেতা কর্মীদের উপর মামলা দেওয়া আর তাদের আটকানো, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির এক দলীয় কর্মসূচিতে এসে কলকাতার মল্লিক বাজারে নার্সিংহোমে কার্নিশ থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার,
তিনি বলেন পুলিশ প্রশাসন রাজ্যে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয়। ওদের কাজ কালী ঘাটের দুটি বাড়ির সামনে পাহারা দেওয়া আর বিজেপির নেতা কর্মীদের উপর মামলা দেওয়া আর তাদের আটকানো।ওই ব্যক্তির আহত দেহ প্রায় দুই আড়াই ঘন্টা পড়েছিল আমি যেটা শুনেছি, পুলিশের কোনো হেলদোল নেই প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। এগিয়ে বাংলার প্রশাসন এটাই করে আড়াই ঘন্টা লেটে চলছে এটা যদি গুজরাটের প্রশাসন হত সঙ্গে সঙ্গে কাজ হতো । তিনি আরো বলেন-প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুইট নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বললেন-নিয়ম না মানলে মোদির দেওয়া প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা মিলবে না রাজ্য সরকারের একই সুর ছড়ালেন সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কথাটা লিখতে হবে,বাড়ির গায়ে নইলে সিক্সটি পার্সেন্ট যে টাকা সেই টাকা পাবেনা উপভোক্তা। এটাই স্বাভাবিক। রাজ্য ৪০% ম্যাচিং মানী দেওয়ার কথা সেটাও দেয় না, সেই ফোরটি পার্সেন্ট টাকা বাদ দিয়েই বাড়ি হচ্ছে, সেই ম্যাচিং টাকা রাজ্য প্রদান করে না অথচ বাংলা আবাস যোজনা বলা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা আবাস যোজনা করতেই পারেন সেক্ষেত্রে তাকে একশো শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। কেন্দ্র দেবে না। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ২০২৪ শে বিধানসভা ও লোকসভা একসঙ্গে হবে এই কথার প্রসঙ্গে বললেন তৃণমূল দলের অবস্থা ভালো নয় একুশে জুলাই নিয়ে কথা উঠছে তোলা তোলা যাবেনা ইত্যাদি, এই দল বেশিদিন থাকবে না ভেঙ্গে যাবে।
যে সমস্ত শিল্পপতিরা সম্মান নিয়ে কাজ করতেন চান তারা অন্য রাজ্যে চলে গেছেন। হাজার হাজার কল কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি হিসাবে ৪০ লক্ষ মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। এমনটাই মন্তব্য করলেন তিনি, এছাড়াও এই দিন উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য জেলা বিজেপির নেতা কর্মীরা।