নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- পাড় কাটতে কাটতে মিলনের দিকে এগোচ্ছে গঙ্গা আর ফুলহার নদী । তেমনটা হলে মালদা জেলার অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে। দুই নদীর মিলন আটকাতে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। তিনি এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন সেচ দফতরকে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে সেচ দফতর। ঘুম ভাঙে জেলা প্রশাসনেরও। দায়িত্ব নিয়েই কয়েকদিন আগে রতুয়ায় ছুটে যান নতুন জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া। আজ ফের তিনি রতুয়ার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। তবে এবার গোটা প্রশাসনকেই তিনি সেখানে নিয়ে যান। ছিলেন পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব, জেলা পরিষদের সভাধিপতি আবু তৈয়ব মহম্মদ রফিকুল হোসেন, দুই বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও আবদুর রহিম বকসিও।
আজ রতুয়ার নাককাট্টি ব্রিজ থেকে নৌকায় ফুলহার নদীর ভাঙন পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙন কবলিত বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে কাটাহা দিয়ারা হাইস্কুলে যান। সেখানে আগে থেকেই জমায়েত ছিলেন দুই পঞ্চায়েত এলাকার ভাঙন বিধ্বস্ত মানুষ। তাঁরা নিজেদের পরিস্থিতির কথা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সামনে তুলে ধরেন। তবে নিজেদের পুরোনো অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই মনে করছেন, এবারের পরিদর্শনেও কিছু হওয়ার নয়। বর্ষা চলে এসেছে। এবারও তাঁদের ভাঙনের ভয় নিয়েই দিন কাটাতে হবে।
মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের একদিক দিয়ে বইছে ফুলহার, অন্যদিকে গঙ্গা।