প্রথমে মদ্যপান তারপরেই ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ স্ত্রী ও শশুরকে।

0
364

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  মদ্যপ অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ স্ত্রী ও শশুর কে। জামাইয়ের রণচণ্ডী রূপ দেখে ঘর ছেড়ে পলাতক শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার বাইগাছি পাড়া এলাকায়। জানাজায় গতকাল রাতে শান্তিপুর এক নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাস পাড়ার অজয় বিশ্বাস মদ্যপ অবস্থায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে শান্তিপুর বাইগাছি পাড়া শ্বশুরবাড়িতে হঠাৎ চড়াও হয়, এর পরেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অজয় বিশ্বাস এর স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস প্রতিবাদ করতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী সহ শ্বশুরকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে জামাই। ঘটনাস্থলে ই গুরুতর আহত হয় স্ত্রী ও শ্বশুর, লুটিয়ে পড়ে থাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাদেরকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে স্ত্রী ও শ্বশুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক সেলাই পড়ে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ এরপর ওই মদ্যপ রণচন্ডী মূর্তি কারী জামাই অজয় বিশ্বাস কে গ্রেফতার করে। যদিও আহতরা কেমন আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য শান্তিপুর হাসপাতালে যায় পুলিশ। স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস বলেন শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার প্রায় ১৭ বছর ধরে সহ্য করে আসছি। পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদ করিনি কোনদিন। মাঝেমধ্যেই রণচন্ডী রূপ ধারণ করে মারধর করে, এইভাবে আমার বাবার বাড়িতে ঢুকে এই কান্ড ঘটাবে তা কখনো ধারণায় করতে পারিনি। যদিও গুরুতর আহত স্ত্রী নমিতা বিশ্বাসের এখন একটাই দাবি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, এবং ও যেন জেল হাজত খাটতে পারে তার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। যদি এই ঘটনায় এখনো চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্ত্রী নমিতা বিশ্বাসের বাপের বাড়ির লোকজনেদের। আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।