মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চলছে সিবিআই তদন্ত। এর মধ্যেই আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার আরো একটি অভিযোগ সামনে এল।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে।
আপার প্রাইমারিতে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডহরা গ্রামের বাসিন্দা মহিদুর রহমান ওরফে বাদল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।প্রতারনার শিকার হয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন সাদলিচক গ্রামের বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েতের তৃনমূলের যুব সভাপতি আরজাউল হক।ওই প্রতারক যুবকের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতারিত আরজাউল হকের বাবা মহম্মদ সাজাহান। অভিযোগের ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরজাউল হকের বাবা মহম্মদ সাজাহান জানান,ছেলে আরজাউল ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারি TET পরিক্ষায় পাশ করে এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাই।তবে চাকরি পেতে অসফল হয়।সেই সুযোগে প্রতারক মহিদুর রহমান ওরফে বাদল চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে তার ছেলের কাছ থেকে তিন কিস্তিতে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।তবে চাকরি করাতে পারেনি।পরবর্তী কালে জানতে পারে সে প্রতারণার শিকার হয়েছে।টাকা ফেরত চাইতে গেলে ওই যুবক টালবাহানা করতে শুরু করে।গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়।এর পর দুই কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকা ফেরত দিলেও এখন সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করছে।টাকা চাইতে গেলেই হুমকি দিচ্ছে। মোবাইল বন্ধ রেখেছে।তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বেশ কয়েকজন শিক্ষিত যুবক যুবতীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ওই যুবক।তারা ভয়ে অভিযোগ করতে পারছেনা।এর পূর্বে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এলাকার বেশ কয়েকজনের চাকরি করিয়ে দিয়েছেন সে।
প্রতারক মহিদুর রহমান গ্রেফতার হলেই আসন নায়কের নাম উঠে আসবে বলে আশাবাদী বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা।