তাঁত প্রধান শান্তিপুরে তাঁতের কাঠেই তৈরি হয়েছিল রথ।

0
343

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পুরী মহেশ অনেক দূরের পথ, তাই নদীয়ার হরিপুর এলাকার জগন্নাথ ভক্তরা মিলে রথযাত্রা করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। রথ তৈরির বিপুল পরিমাণে অর্থ জোগাড়ে প্রায় অসম্ভব জেনেই, সাহায্য নিয়েছিলেন তাঁত প্রধান শান্তিপুরের বিভিন্ন তাঁতির। পরিত্যক্ত তাঁতের বিভিন্ন কাঠের অংশ যোগাড় করে নির্মিত হয় রথ। দু’বছর করো না পরিস্থিতির মধ্যে কোনমতে নিয়ম রক্ষা হয়েছিল তবে এবার এলাকার ভক্তবৃন্দের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্মিত হয়েছে লোহার রথ। জগন্নাথ দেব নবদ্বীপ থেকে নিয়ে আসা হলেও বিশিষ্ট শিল্পীরা স্বল্প পারিশ্রমিকেই এবার তা নির্মাণ করে দিয়েছেন। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী হরিপুর মাঝেরপাড়া রমা প্রসাদ মুখার্জির বাড়ি থেকে ব্রাহ্মণদের কোলে চেপে মনসাতলায় থাকা রথে চড়ে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত সরণী সেধের পুকুর হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাঠ অবশেষে রথের শেষ টান হয়ে ঘোষপাড়ায় বাবলা ভট্টাচার্যের বাড়িতে, জগন্নাথ দেব থাকবেন এই সাত দিন। ফিরে আসার সময় একইভাবে অনুষ্ঠিত হবে উল্টোরথ। ৫৬ ভোগ ভোগ রন্ধন , সাত দিনের নতুন বেশভূষা,কীর্ত্তন দল সহ জগন্নাথ দেবের রথে চড়া, ভক্তবৃন্দদের রথের রশি টানা নিয়ে গ্রামাঞ্চল মেতে থাকেন এই কদিন। সেই উপলক্ষে বসে মেলা।