হাওড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দেশমাতৃকাকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে বিপ্লবের যে আলোকরেখা ধরে আপামর মানুষকে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি ছিলেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আরও অনেক বিপ্লবী, প্রথিতযশা মানুষ সেদিন ছিলেন তার পাশে।
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাওড়ার শিবপুর লাইব্রেরী হলে পঞ্চানন রায়চৌধুরী স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে, বিগত ২৬ সে জুন, ২২, সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৪তম জন্মদিন। আয়োজনে ছিলেন শ্রীমতী পুষ্প রায়চৌধুরী। তিনিই উদ্বোধন সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
অনাড়ম্বর অথচ ঐতিহ্যময় অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক গানটির “বন্দে মাতরম ” গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দীপ প্রজ্বলিত হয়ে ওঠে এবং প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার পুষ্প রায়চৌধুরী বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে ফুল প্রদান করে শ্রদ্ধা জানান। এই গানটির শিল্পী ছিলেন মীনাক্ষী বন্দোপাধ্যায়। গানটি সম্পূর্ন শোনা গেলো। ভারতমাতার এক সম্পূর্ন বর্ণনা পাওয়া গেলো।
ঐদিন বঙ্কিমচন্দ্রের বিভিন্ন উপন্যাসে রাখা বেশ কিছু গান তার সুললিত কণ্ঠে শোনান পুষ্প রায়চৌধুরী। তার কণ্ঠমাধুর্যে শুখস্রাব্য হয়ে উঠেছিল সেদিনের সেমিনার হলটি। সঙ্গে ছিলেন মায়া মল্লিক, অর্চনা বাগুই।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অতিথিরা। শ্রদ্ধেয় শ্রী শিবশঙ্কর গুপ্ত, সমীর রায়চৌধুরী, নিখিলেশ রানা, প্রমুখেরা।তারা তাদের বঙ্কিমচন্দ্র সম্মন্ধে তথ্যসম্বলিত সুবক্তব্য রাখেন ।
বঙ্কিমচন্দ্রের লেখার কিছু অংশ,এবং তার সম্মন্ধে লেখা কবিতা পাঠ করেন যথাক্রমে নিখিলেশ রানা, ইতালি গুপ্ত, বিক্রমজিৎ ঘোষ,দীনেশ মান্না প্রমুখ।
ঐদিন আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল। উক্ত কবিতার বাচিক শিল্পীরাই বিচারক হিসাবে ছিলেন । সেদিন প্রথম স্থান অর্জন করেন দর্শনা চৌধুরী , দ্বিতীয় হন অনিস্মিতা দাস। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যথাক্রমে পুষ্প রায়চৌধুরী এবং দেবাঞ্জন রায়চৌধুরী। তার দৃপ্ত এবং মন্দ্র কণ্ঠস্বরে পরিচালনাও এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল।