পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা: – পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের বিজেপি নেতা জন্মেঞ্জয় গাঁতাইৎ ওরফে লালু। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল পারিবারিক অশান্তি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন টাই অভিযোগ। যার কারণে লালুর নিজস্ব বাড়ি দামোদরপুরে ছিলোনা স্ত্রী। বেশ কয়েক মাস বাপের বাড়ি তমলুক থানার চকগাড়ুপোতায় ছিলো স্ত্রী। গতকাল অর্থাৎ সোমবার সকালে ওই বিজেপি নেতা লালু গাঁতাইৎ তার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে তার বাড়িতে ফেরানোর জন্য বলে। এই সময় বিবাদ চরমে ওঠে।লালুর শ্বসুর বাড়ির লোকজন লালুর পরিবারকেও বিষয়টি জানায় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। লালুর দাদা এই সময় গণ্ডগোলের খবর পেয়ে চকগাড়ুপোতায় আসে বলে জানা যায়। এর পরই উত্তেজনার মাত্রা চরমে ওঠে। জানাযায় এই সময় বাড়িতে থাকা একটি বোতল ভেঙে নিজের পেটে তিনবার ঢুকিয়ে নেয় বলে জানা যায়। এই ঘটনার পরই শ্বসুর বাড়ি ও লালুর বাড়ির লোকজন প্রথমে তমলুকে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য, পরে পাঁশকুড়ায় বড়োমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কোলকাতায় পিজি হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করে।এরপর রাতে তমলুক জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে যুব বিজেপি নেতার এই মৃত্যুর পেছনে আদৌ কি ঘটেছে তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই বিষয়ে ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, তমলুক ও পাঁশকুড়া থানার পুলিশকে এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ঘটনায় যথেষ্ট সরল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।