সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং: – সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরার সরকারী নিষেধাঞ্জা উঠতেই পাড়ার মোড়ল মাতব্বরদের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নিয়ে ১৫ দিন আগে ইলিশ মাছ ধরার আশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা সন্দেশখালি থানার অন্তর্গত খুলনা গ্রামের একদল মৎস্যজীবি।সুন্দরবনের ঝড়খালি সংলগ্ন বালিখাল এলাকায় পঞ্চমুখানি নদীর দিকে তাকিয়ে ইলিশের আশায় চাতকের মতো অধীর আগ্রহে প্রহর গুনে চলেছে।দেখতে দেখতে প্রায় ১৫ দিন অতিক্রম করলেও ইলিশ মাছের দেখা না পাওয়ায় হতাশায় নদী বক্ষে দিন কাটাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। প্রতিদিনই নিয়ম করেই জোয়ারের জল দেখছেন ইলিশ আসার সম্ভবনা রয়েছে কি না। মূলত নদীতে জোয়ারের সময় জলের রঙ পরিবর্তন হয়ে নীল স্রোত হলেই ইলিশের ঝাঁক আসার সম্ভবনা থাকে।
মৎস্যজীবি মনোরঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন ‘বিগত বছর ভালোই ইলিশ হয়েছিল।এবছর এখনও পর্যন্ত ইলিশের দেখা নেই। তবে আশায় রয়েছি। দেরী হলেও নদীর রুপালি ফসল ঘরে তুলবো। না হলে সংসারের ছেলেমেয়েদের খাওয়া কি?তারপর মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়েছি শোধ দেবো কি ভাবে।
অন্যদিকে মহম্মদ গোলাম হোসেন ঘরামী নামে অপর এক মৎস্যজীবি জানিয়েছে ‘ইলিশের অপেক্ষায় রয়েছি। যদি না হয় তাহলে আবারও একবছর অপেক্ষা করতে হবে।বাড়িতে ফিরে গিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। অন্যান্য কাজ করতে হবে। না হলে দেনা শোধ দেবো কি ভাবে।
স্থানীয় এক হোটেল মালিক মোহন কুমার দাস জানিয়েছেন ‘হয়তো ইলিশ আসতে দেরী হচ্ছে। তবে ইলিশ অবশ্যই হবে। না হলে আমাদের পর্যটন ব্যবসা মার খাবে। কারন এই সময় সুন্দরবন ভ্রমণে যাঁরা আসেন মূলত তাঁরা ইলিশের স্বাদ পেতেই আসেন।
আবার মাছে ভাতে বাঙালী ইলিশের স্বাদ পেতে অপেক্ষায় রয়েছে।মৎস্যজীবিদের একাংশের দাবী সব কিছুই ঠিকঠাক থাকলে জুলাইয়ের ১৫ তারিখের মধ্যে সুন্দরবনের নদী গুলোতে অবশ্যই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ঢুকে পড়বে।