সুন্দরবনে স্বর্গতীর্থে যাতায়াতের রাস্তা বেহাল।

0
677

সুভাষ চন্দ্র দাশ, গোসাবা :- মৃত্যুর পর ও দুঃখ-যন্ত্রণা তাড়া করে বেড়ায়।শান্তি নেই।গ্রামের একমাত্র শ্মশানের যাওয়ার রাস্তাটি মাটির কাঁচা।আজও হয়নি পিচ কিংবা কংক্রীটের।
সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়নগর ১০ নম্বর গ্রাম। সেখানে মানুষজন মারা গেলে মৃতদেহ সৎকারের নির্দিষ্ট কোন শ্মশান ছিলো না।ফলে গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে চলা বিদ্যাধরী নদীর তীরে মাটি খুঁড়ে দেহ সৎকার করা হতো।তাতে করে এলাকায় ব্যাপক হারে দূষণ ছড়িয়ে পড়তো। স্থানীয় যুবক প্রসেনজিত মণ্ডল চলতি বছর এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতধরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ‘সুন্দরবন স্বর্গতীর্থ’ নামে একটি স্থায়ী শ্মশান নির্মাণ করেন।ঝাঁ চকচকে শ্মশান ঘাট তৈরী হলেও যাতায়াতের এক কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই বেহাল। বিশেষ করে বর্ষাকালে মৃতদেহ দাহ করতে শ্মশানে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় শ্মশান যাত্রীদের কে। অভিযোগ বর্ষাকালে মৃতদেহ দাহ করতে আসা শ্মশানযাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এমনকি ওই এক কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে তিনচার টি গ্রামের কয়েক হাজার গ্রামবাসীও যাতায়াত করেন। অভিযোগ বর্ষাকালে পা পিছলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা কবলে পড়তে হয় তাদের কে। তাদের দাবী সরকারী উদ্যোগে এই শ্মশানের যাওয়ায় রাস্তা টি পাকা হলে সুন্দরবন স্বর্গতীর্থে যাতায়াতের পথ সুগম হবে।
সুন্দরবন স্বর্গতীর্থ যাতায়াতের বেহাল রাস্তা প্রসঙ্গে গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডল জানিয়েছে সুন্দরবন স্বর্গতীর্থ শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাটি পাকা তৈরী করা হবে।কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই রাস্তার কাজ শুরু হবে।