ডেঙ্গুর হাত থেকে বিশেষভাবে সক্ষমদের রক্ষা করতে প্রতিবন্ধী সংগঠনের উদ্যোগে মশারী বিতরণ, অভিভূত বিধায়ক এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসতে বললেন।

0
369

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, বিরোধীদের থেকেও থেকেও বেশি ভয় ডেঙ্গু নিয়ে। ১৯৭৯ সালে এশিয়া আফ্রিকা উত্তর আমেরিকা মহামারি ঘটার পর থেকে কারণ খুঁজতে গিয়ে ১৯০৬ সালে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন ডেঙ্গুর বাহক মশা। বিশ্বের প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ প্রতিবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, ৫ লক্ষ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১২ থেকে ২৫ হাজার মানুষ মারা যান। ট্রপিকাল রোগ হিসেবে ম্যালেরিয়ার পর এই ডেঙ্গুর স্থান। ভারতেও এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক এবং ক্রমবর্ধমান। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে এখনো ছড়িয়ে চলেছে সংক্রমণ।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন, নামটা ছোট হলেও, বিপদটা অনেক বড় সড় ডেকে নিয়ে আসতে কিছুটা অসাবধানের কারণে। সরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে বিশেষত বর্ষার প্রাক্কালে এ সময় বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা জলে ডিম পাড়ে মশা। কিন্তু একই গোত্রের বিভিন্ন ধরনের হওয়ার কারণে সংক্রমণ ছড়ানো এডিস মশা চেনা ভারী শক্ত। সাধারণ জরজারির মতন প্যারাসিটামল ছাড়া, মিনারেল, ক্যালসিয়ামযুক্ত পথ্য খাওয়া ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা নেই সেই অর্থে।
তাই যত্রতত্র জল জমা, ব্লিচিং ফিনাইল এবং বিভিন্ন জীবাণুনাশক মাধ্যমে বাড়ি এবং তার চারপাশ পরিস্কার রাখা, বিশেষত রাত্রে মশারি টাঙিয়ে বেশ খানিকটা নিরাপদ।
করোনা সংক্রমণে দীর্ঘদিন লকডাউনে অর্থনৈতিকভাবে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। ভাবে সক্ষমদের পরিস্থিতি তো আরো ভয়ঙ্কর। সামান্য কর্মসংস্থান ও চলে যাওয়ার পর, দুমুঠো ভাত জোগাড় করাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে উঠেছে। সামান্য অর্থ হলেও এ ধরনের সচেতনতা নিতে মশারি কেনার আগ্রহ নেই অনেকের। শান্তিপুরের প্রতিবন্ধী সংগঠন সদস্যরা আজ বাবলায় সত্তরটি মশারি বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই শুভ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে ছুটে এসেছিলেন, শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী, তিনি বলেন অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং সরকারের চিন্তাভাবনাকে ফলপ্রসু করার জন্য তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। সকলে একত্রিত ভাবে এগিয়ে আসলে, সকলেই ভালো থাকা সম্ভব।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মিলন চ্যাটার্জী, তিনি বলেন বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অপর এক সমাজ সেবী রীনা গাঙ্গুলী, বলেন তাদের সাথে থাকতে পেরে আমি গর্বিত আগামী দিনে, এ ধরনের সমাজ সচেতন মূলক আরো অনুষ্ঠান করব।
প্রতিবন্ধী সংগঠনের সভাপতি সুজন দত্ত বলেন, বাবলা পঞ্চায়েত শান্তিপুর পৌরসভা বিধায়ক সকলেই সব সময় আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন তাই এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজসেবী বিনতা মন্ডল, সৌমেন দাস, গৌতম সাহা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য গণ। বাবলা পঞ্চায়েতের প্রধান উন্নতি সর্দার, নদীয়া জেলা পরিষদের সদস্য নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস ও তাদের মূল্যবান সময়ের মধ্যে থেকে উপস্থিত ছিলেন আজকের অনুষ্ঠানে।