পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিজেপির কৃষাণ মোর্চার সভাপতি মানস কামিলা সঙ্গে দুই মহিলার বিয়ে দিলো গ্রামবাসী। অভিযোগের তীর তৃনমূলের দিকে। যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।পুরোহিতের মন্ত্র উলুধ্বনি বাজনা বাজিয়ে বাজি ফাটিয়ে মিষ্টি বিতরণ করে ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হলো। মানস কামিলা বাড়ি পুর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি থানার বাঁশগড়া গ্রামে । মানস কামিলার সোনার দোকান আছে নিজের বাড়ি থেকে কিছু দূরে পাশের গ্রাম খেজুরির দেখালি বাজারে। প্রায় কুড়ি বৎসর ধরে সোনার ব্যাবসা করছেন ওই দেখালি বাজারে। ৩০ শে জুন রাত্রি বেলা মানস কামিলা ও মানস কামিলার আন্তিয় দুই মহিলাকে সহ তিন জনকে নগ্ন করে মারধোর করে চুল কেটে দেয়। তার পরে দুই মহিলার সঙ্গে মানস কামিলার দেখালি বাজারে কালি মন্দিরে বাজনা বাজিয়ে পুরোহিত ,নাপিত গ্রামবাসীদের সামনে বিয়ে দেওয়া হয়।পরে সকালে ভেন রিক্সায় সবাই কে চাপিয়ে বাজনা বাজিয়ে বাজী ফাটিয়ে মিষ্টি বিতরণ করে আম কাঠাল সহকারে গ্রামে ঘোরানো হয়। অভিযোগ তৃনমূলের বুথ সভাপতি নিখিল পয়রার নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ব্যক্তি বিজেপির কৃষাণ মোর্চার সভাপতি মানস কামিলা। আক্রান্ত তিন জনকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাল্টা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নিখিল পয়রা কে বিজেপি লোক জন বেপক মারধোর করে। নিখিল পয়রাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় কাঁথির দারুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে এলাকা ছাড়া অভিযুক্ত তৃনমূল নেতার সঙ্গীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার আভিযোগ তুলেছেন দুই নির্যাতিতা মহিলা সহ মানস কামিলা। খেজুরি থানায় অভিযোগ করলেও থানা কোনো বেবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। তাই ওই তিন জন নির্যাতিতা কাঁথি কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওই এলাকার তৃনমূলের অঞ্চল সভাপতি আলাপন দাসের অভিযোগ এই ঘটনার সঙ্গে তৃনমূল কোনো ভাবেই জড়িত নয়। ওই সোনা দোকানি মানস কামিলা কে দুই মহিলার সঙ্গে আপত্তি কর অবস্থায় গ্রাম বাসীরা ধরে ফেলে। তার পরে গ্রামবাসীরা দেখালি বাজারে কালি মন্দিরে বিয়ে দেয়। আলাপন দাসের আরো আভিযোগ ওই সোনা দোকানি কে এর আগে অনেক বার সাবধান করেছিলেন গ্রামবাসীরা যে কু কর্ম থেকে বিরত থাকতে কিন্তু মানস কামিলা তা শুনেনি। তায় গ্রাম বাসীরা ওই দুই মহিলার সাথে শারিরিক সম্পর্ক চলাকালীন ধরে ফেলে। তার পরে গ্রামবাসীরা বিয়ে দেয়। ওই দুই বিবাহিতা মহিলা বর্তমানে দেখালি গ্রাম ছাড়া। দুই মহিলা বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। নির্যাতিতা দুই মহিলা আগে থেকেই বিবাহিতা, দুই মহিলার স্বামী বর্তমান। নির্যাতিতা দুই মহিলা হলেন পার্বতী আরি ও মঞ্জু মুখাল। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যে ছড়িয়েছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন উভয় পক্ষ।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা মধ্যযুগিও বর্বরতার সাক্ষী থাকলো খেজুরি,বিজেপির কৃষাণ মোর্চার সভাপতি মানস কামিলা সঙ্গে দুই...