প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ বহরমপুর দলীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে যাওয়া নিয়ে বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী ম্যানেজ করতে পাহাড়ে গিয়েছেন।

0
222

মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ বহরমপুর দলীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে যাওয়া নিয়ে বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী ম্যানেজ করতে পাহাড়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন দার্জিলিং এর মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে ম্যানেজ করতে তিনি দার্জিলিং গিয়ে ছেন মমতা ব্যানার্জি তো এই জন্য বিখ্যাত বলে জানান অধীর। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভাড়ার ফুটো হয়ে গিয়েছে। দার্জিলিংয়ে পানীয় জলের সমস্যা আগে দিদি দার্জিলিং এ পানীয় জলের ব্যবস্থা করুন, মল পরে হবে। আগে রাস্তা করুন, সেখানকার বেকার যুবকদের রুজি রোজকারের ব্যবস্থা করুন কমসে কম। দার্জিলিং-এ টুরিস্ট স্পট হিসেবে আরো যাতে প্রচার পাই তার ব্যাবস্থা করা হোক। ভারত ও বিশ্বের বাজারে টুরিস্ট স্পট হিসাবে দার্জিলিং যাতে আরো সুনাম অর্জন করে তার ব্যবস্থা করুক তিনি বলেন অকারনে বিনা রেশনে ভাষণ দিয়ে কোন লাভ নাই, কারণ দার্জিলিংয়ে পূর্বে যে আকর্ষণ ছিল সেই আকর্ষণ দার্জিলিং হারিয়েছে, আজ যদি কোন মানুষ দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যায় তাহলে দেখা যায় সেই টুরিস্ট একদিন দার্জিলিং এর থেকে তিন দিন গ্যাংটকে থাকে খুব স্বাভাবিকভাবে রাস্তার দরকার, জলের দরকার বিদ্যুতের দরকার পরিকাঠামোর দরকার এগুলি আগে ব্যবস্থা করুন। আপনি তো পশ্চিমবঙ্গকে ভিখারীর রাজ্যে পরিণত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ভাড়ার শূন্য করে দিয়েছেন কি করবেন দার্জিলিঙে গিয়ে। স্মাইল দার্জিলিং তো ভালো লাগে কিন্তু স্মাইল করার জন্য আগে তো রসদের ব্যবস্থা করতে হবে। আপনার মত নাটক করে তো সবাই স্মাইল করতে পারেনা। দু ধরনের স্মাইলিং হয় একটা অন্তর থেকে আর একটা নাটক করে। অধীর বলেন আপনি কোন ইসমাইলের কথা বলছেন তা তো জানিনা। আপনি মোনালিসার মত যদি তার মর্মার্থ খুঁজতে হয় আপনার মতে ওইটা হাসি না প্রতারণা না ওটা একটা ঢপবাজি তাহলে তো মুশকিল। রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন মমতা ব্যানার্জি কোন দিকে যাবেন বুঝতে পারছেন না। আদিবাসীদের খুশি করতে দ্রৌপদীর বিরোধিতা করা যাবে না,আবার জাতীয় নেতৃত্ব চাই সেই পার্টির নেতা যশবন্ত সিং তারও বিরোধিতা করা যাবে না। দিদি এখন উভয় সংকটে পড়ে আবোল-তাবোল বকছেন, বলেন অধীর চৌধুরী।