নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বারংবার জলাশয় ভরাট করার বিরুদ্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন ঠিক তখনই নদীয়ার শান্তিপুর শহরের বাইপাস সংলগ্ন ঢাকা পাড়ার বেলি পুকুর ভরাট হচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে। পি ডব্লিউ ডি র জায়গায় বসবাসকারী, শিব শংকর পাল ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও তার ছেলে সৌরভ পাল বলেন, বসবাসের উপযোগী শুধুমাত্র তিনটি ঘর করার মতন জায়গা মাটি ফেলে উঁচু করা হচ্ছে, এর আগে আশেপাশের অনেকে বসতি নির্মাণ করেছেন তখন প্রশাসনকে আসতে দেখিনি। বিষয়টি দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুষ্পা দাসও জানেন। যদিও এ বিষয়ে পুষ্পা দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমার নাম জড়াচ্ছে, ইতিমধ্যেই শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কে জানিয়েছি ডি এম, এস ডি ও ,শান্তিপুর থানা সহ,সমস্ত প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত আকারে অভিযোগ জমা করার ব্যবস্থা করছি। কাউন্সিলরের স্বামী সত্যনারায়ণ দাস বলেন, শুধু বেলু পুকুর নয় পাশেই, একটি আলমারি কারখানার মালিক বহু প্রাচীন সুরধ্বনি নদী ভরাট করেছেন এ বিষয়েও আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। যদিও আলমারি কারখানার মালিক প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।তবে
দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান, এখনো পর্যন্ত লিখিত ভাবে অভিযোগ পাইনি, তবে শুনেছি। অবিলম্বে তা তদন্ত করবে পুরসভা। সচেতন নাগরিকদের মধ্যে থেকে প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে অভিযোগ করার প্রতীক্ষায় নয়, প্রশাসনিক তৎপরতা থাকা উচিত।
শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রঘুনাথ কর্মকার জানান, আগেও সুরধ্বনি নদী নিয়ে বিভাগীয় দপ্তরে চিঠি করা হয়েছিলো, বিজ্ঞান ক্লাব হিসেবে প্রতিবাদ এবং লিখিত অভিযোগ দেওয়াই তাদের কাজ। বন্ধ করার দায়িত্ব থাকে প্রশাসনিক দপ্তরগুলির সদিচ্ছায়।