নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে কেনা টোটোকে ‘পুলিশের দেওয়া’ বলার জন্য ‘চাপ দেওয়া’র অভিযোগ উঠলো এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

0
188
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুরের স্বামী লক্ষীকান্ত ক্ষেত্রপাল মারা যাওয়ার পর চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েন। একমাত্র মেয়ে শিবানী ক্ষেত্রপাল একাধিকবার জাতীয় স্তরের জিমনাস্টিকে পদক জয়ী। কিন্তু অর্থাভাবে পড়াশুনা করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় মেয়ের পড়াশুনা আর সংসার খরচ চালাতে ধার দেনা করে একটি টোটো কেনেন। এরপর গত মঙ্গলবার কোতুলপুর থানা থেকে একমাত্র মহিলা টোটো চালক সুধা ক্ষেত্রপালকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পরে ঐ টোটো ফুল দিয়ে সাজিয়ে সেই টোটো চেপে ঘোরেন কোতুলপুরের বিদায়ী ও.সি রামনারায়ণ পাল ও বঁাকুড়া জেলার ইন্দাস বক্লে আকুই একনং অঞ্চলে ছোট গোবিন্দ পুর এস এন পঁাজা জুনিয়ার হাই স্কুলে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অর্থাৎ  কোতুলপুর হাই স্কুলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার। আর এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পুলিশের তরফে না হলেও ঐ 'অতিরিক্ত পুলিশ ঘনিষ্ট' হিসেবে পরিচিত ঐ শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার সুধা ক্ষেত্রপালকে তার কেনা টোটোটিকে পুলিশের দেওয়া বলার জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সুধা ক্ষেত্রপাল ও তার মেয়ে শিবানী ক্ষেত্রপাল তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন। শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকারের প্রতি একরাশ ঘৃণা উগরে দিয়েছেন তারা। পুলিশের হয়ে তাঁবেদারি করার পিছনে শিক্ষক মহাশয়ের কি স্বার্থ আছে সে নিয়েও এলাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।