একুশে জুলাই কেন তৃণমূলের শহীদ দিবস নেপথ্যে রয়েছে কোন ইতিহাস?? : দেবারতি গোস্বামী।

0
930

একুশে জুলাই মানে ধর্মতলা চত্বরে জনসুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে | পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা এসে জমায়েত হন ধর্মতলা চত্বরে | অপেক্ষায় থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ভাষণের| শহীদ দিবস আসলে কি?কেন পালিত হয় ২১ সে জুলাই? তা জানতে হলে আপনাকে ফিরে যেতে হবে প্রায় তিন দশক আগে|| সালটা ১৯৯৩| রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকার হলো বামফ্রন্ট | তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু| প্রধান বিরোধী দল ছিল কংগ্রেস | তখন ভোটের সময় বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে ভোটের কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন তৎকালীন বিরোধী কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | ভোটের স্বচ্ছতার জন্যে দাবি করেছিলেন সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্রের মাধ্যমে ভোট করা হোক আগামী দিনগুলো | এই দাবিকে কেন্দ্র করে তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস মহাকরণ অভিযানে নামে একুশে জুলাই | সেই মহাকরণ অভিযান ঠেকাতে বামফ্রন্টের তরফ থেকে বিভিন্ন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় | রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়| মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী | এত প্রতিরোধব্যবস্থা সত্ত্বেও সেই মহাকরণ অভিযানের কংগ্রেস সমর্থকদের দমানো যায়নি | পুলিশ ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ বাধে | পরিস্থিতি সামাল দিতে হঠাৎই ওই মহামিছিলে গুলি চালায় পুলিশ | গুলি চালানো সঙ্গে সঙ্গে ১৩জন কংগ্রেস সমর্থক লুটিয়ে পড়েন মাটিতে | নিহত কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জিত দাস, প্রদীপ রায়, আবদুল খালিক, কেশব বৈরাগী, বন্দনা দাস, শ্রীকান্ত শর্মা, দিলীপ দাস, রতন মণ্ডল, মুরারি চক্রবর্তী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ রায়, অসীম দাস ও ইনু মিয়া। কংগ্রেস দলের এই ১৩ জন নিহত কর্মীদের শহীদ হিসেবে গণ্য করা হয় | ২০১১সালে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | তখন থেকেই তিনি জানান প্রতিবছর একুশে জুলাই শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে শহীদ দিবস পালিত হবে | এই শহীদ দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন শহীদের পরিবারের আত্মীয়রাও |