কুশিদা বাঁধ রোডে এই মদের দোকানের জন্য মদ্যপ মাতালদের অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে, থানায় লিখিত ওভিযোগ।

0
219

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-সন্ধ্যে নামলেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রকাশ্যে বসছে মদের আসর। বিহার থেকে আসছে দলে দলে লোক কুশিদা সদর এলাকায়। এদের মধ্যে দুষ্কৃতীরাও রয়েছে। বিকেল থেকে রাত অব্দি চলছে ঢালাও মদ বিক্রি। সব গুলি বেআইনি মদের দোকান। কুশিদা বাঁধ রোডে এই মদের দোকানের জন্য মদ্যপ মাতালদের অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা বারবার প্রতিবাদ করে কোন ফল না পেয়ে এবারে তারা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ছুটে এলেন দল বেঁধে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তারা দাবী জানালেন অবিলম্বে ওই এলাকার বেআইনি মদের ঠেক গুলি বন্ধ করার। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। ঘটনার অভিযোগ পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা নবনিযুক্ত আই সি দেওদুত গজমের বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ওই এলাকায় চলে যান। তড়িঘড়ি মদের ঠেক গুলি বন্ধ করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আশ্বাস দেওয়া হয় ওই এলাকায় আর বেআইনি মদের ঠেক খুলতে দেওয়া যাবে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধ রোড এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক চালায় এলাকারই বাসিন্দা নিমাই সাহা, মিঠুন দাস এবং স্বপন দাস। ওই মদের থেকে বিকেল থেকে আড্ডা জমায় পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারে মধ্যপায়ী এবং দুষ্কৃতীরা। মাতালদের অত্যাচারে এলাকার বাসিন্দারা ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার বাসিন্দাদের ওই মদের দোকানদাররা প্রাণ-নাশের হুমকি দিচ্ছে। মাতালদের ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না ওই এলাকার স্কুলের ছাত্ররা। বারবার প্রতিবাদ করেও কোনো ফল না মেলায় এবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতেই তাই দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা চাইছেন অবিলম্বে ওই এলাকায় মদের দোকান বন্ধ করা হোক। না হলে এলাকায় আরো বড়সড় অপরাধ ঘটবে। ভিন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে ওই এলাকায়। অবিলম্বে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরো বড়সড় অপরাধ ঘটে যেতে পারে।

এদিকে থানায় গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপর হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় গিয়ে বেআইনি মদের ঠেক গুলি বন্ধ করে দেন। ওই এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে বলেও আশ্বাস দেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি ।