অন্ধকার জ্বালিয়ে নিতেই ;
ভাঁজ খোলা পান্ডুলিপির পাতায় দেখি —
মমি হয়ে আটকে আছে কিছু কবিতার লাশ।
গায়ে বাতাস লাগতেই,
ওরা খিদেয় কাতরে উঠলো —
অনবরত বুরবুরি ওঠা ঢেঁকুর তুলে।
বিস্মৃতির ধোঁয়া উঠা ফুটন্ত জলে ;
আজ তাই দুমুঠো চাল বেশিই দিলাম ;
ভাতের গন্ধে নরকের দরজাটা গেলো খুলে !
সারি সারি শব্দের আত্মারা খিদে পেটে —
আমাকে ঘিরে উচ্চাঙ্গ কান্নার সুরে নাচতে লাগলো।
এক সময় ছায়াপথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ;
আমিও ছায়া হয়ে উঠলাম;
মৃত্যুর আঁশটে গন্ধে —
দম বন্ধ হয়ে নিশ্বাস ফাটতে লাগলো।
খালিপেট ঢেঁকুর তুলতে তুলতে —
ধোঁয়ার মাঝে আমার কবিতা আর আমি,
লাশ পচা শব্দের মিছিলে ভাসতে থাকলাম।
ভাগ্যিস, সময় থাকতেই ;
ওদের কাছেই শিখে নিয়েছিলাম,
চিতা জ্বালানোর গোপন কৌশলটা !!!