উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- পলিথিন ব্যাগ বন্ধে হাসি ফুটেছে কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির কারিগরদের। দেশ জুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে পলিথিন ব্যাগ কেনাবেচা এবং ব্যবহার। ৭৫ মাইক্রোনের নীচে পলিথিন ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পলিথিন ব্যবহার বন্ধে হাটে, বাজারে, দোকান গুলিতে প্রচার চালিয়েছে সরকারি দপ্তর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে ক্রেতা থেকে বিক্রেতার জরিমানাও করা হচ্ছে। অভিযানের ফলে এখন পলিথিন ব্যবহার বেশ কিছুটা কমেছে বলে দাবি প্রশাসনের। আর এর জেরে বেড়েছে কাগজের ঠোঙ্গার চাহিদা এবং ব্যবহার। ফলে ঠোঙ্গা তৈরির কারিগরদের মুখে ফুটেছে হাসি। ঠোঙ্গা তৈরির কারিগরদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তারা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। খবরের কাগজের ঠোঙার চাহিদা না থাকায় খুব বেশি দামও পেত না ঠোঙা কারিগরেরা।তবে বর্তমানে সরকারের তরফে পলিব্যাগ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করায় বেড়েছে ঠোঙার ব্যবহার, ফলে বেড়েছে চাহিদা, তার ফলে কাগজের ঠোঙার দামও বেড়েছে অনেকটাই। সরকারি ভাবে পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ায় আবার চাহিদা বেড়েছে কাগজের তৈরি ঠোঙ্গার। দিনরাত এক করে ঠোঙা তৈরি করে এখন সংসারে সুখের মুখ দেখছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের নতুন পাড়ার ৫২ বছরের বৃদ্ধা, চিত্রা মোদকের বাড়ি সহ আরো কিছু পরিবার । কাগজের ঠোঙা কারিগরেরা জানান, ঠোঙার ব্যবহার হওয়ায় একদিকে যেমন নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ব্যবহার কমছে, যা পরিবেশের জন্য ভাল, অন্যদিকে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেদের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো মজবুত হবে। এতদিন বিভিন্ন সামগ্রী কেনাবেচার ক্ষেত্রে যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার হত পলিথিন ব্যাগ।চিত্রা দেবী বলেন একদিনে ১০ কেজি ঠোঙ্গা বানানো কোন সম্ভবপর ব্যাপার নয়। তবে এখন যেহেতু বাজারে এখনো ঠোঙ্গার চাহিদা তেমন ভাবে বাড়েনি।তাই এখন প্রতিদিন ৭/৮কেজি ঠোঙ্গা বিক্রি করে থাকি।
বাজারে ঠোঙ্গার চাহিদা যত বাড়বে ততই আমাদের লাভ। আগে ক্যারিব্যাগ আমাদের ঠোঙ্গা শিল্পকে একদম বন্ধ করে রেখেছিল। ক্যারি ব্যাগ বন্ধ হবার ফলে আমরা নতুন করে দুটো পয়সার মুখ দেখতে পাচ্ছি। ঠিক একই কথা বললেন চিরাইল পাড়ার আরতি বর্মন, জয়া দেবশর্মা এবং জয়ন্তী সরকার।তারা বলেন আমরা ঘরের বউ।সংসারের সব কাজ করার পর আগে যেমন শুয়ে বসে আড্ডা মেরে কাটাতাম।এখন সেই আড্ডা মারার কোন সময় আমাদের কাছে নেই তাদের বক্তব্য এখন যেহেতু ক্যারি ব্যাগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে ।সেই কারণে পূর্বের ঠোঙ্গা শিল্প পুনরায় কিছুটা হলেও চাঙ্গা হয়ছে।তাই যারা ঠোঙ্গা শিল্পের সাথে যুক্ত থেকে নিয়মিত ঠোঙ্গা বানাবে তাদের এই মুহূর্তে প্রয়োজন মুলধন।তাই কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা থেকে যদি ঠোঙ্গা শিল্পীদের কাজের জন্য সামান্য কিছু করে ঋণের ব্যবস্থা করা হতো তাহলে ঠোঙা শিল্পীদের ভীষণভাবে উপকার হত।