নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা করলো মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ।নগদ টাকা সমেত ছিনতাই দলের এক পান্ডাকেও গ্রেফতারও করা হয়েছে।অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসার পর তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন চেয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।পুলিশ জানায়,ধৃতের নাম সঞ্জয় সিংহ(বয়স ৪৭)বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ফাটাপুকুর এলাকায়।পুলিশি জেরায় ছিনতাইয়ের ঘটনা জানিয়েছেন ধৃত ব্যক্তি।এবং এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নিজের নির্মাণ সামগ্রীর দোকানে ফিরেছেন এক ব্যবসায়ী তথা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হোসেন।ব্যাগ রেখে দোকানের সাটার খুলা মুহুর্তে বাইকে ধাওয়া করে আসা দুস্কৃতিরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।গত প্রায় পাঁচ সপ্তাহ আগে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটনাটি ঘটেছিল চাঁচল সদরের পূর্ত দফতর অফিসের নিকটে।ছিনতাইয়ের শিকার ওই শিক্ষক চাঁচল থানার দারস্থ হন।এক লক্ষ পচা নব্বই টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানান ওই শিক্ষক।অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে চাঁচল থানার পুলিশ।সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হন্য হয়ে ছিনতাইকারীদের তল্লাশিতে নামে চাঁচল থানার পুলিশ টিম।নানারকম কৌশল ও ছদ্মবেশের ধারণও করতে হয়েছে পুলিশকে।লক্ষ্য ছিল একটাই,অভিযুক্তদের জালে আনতে হবে।তবে পরিশ্রমে সুফল পেয়েই গেল পুলিশ।বিশেষ সূত্র ধরে চাঁচলের বিহার সীমান্তের স্বরুপগঞ্জ নাকা পয়েন্টের সংলগ্নে গোধূলি লগ্নে ছিনতাই চক্রের এক পান্ডাকে পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।তারসাথে আরোও কতিপয় যুবক জড়িত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।পুলিশের দাবি,ছিনতাই চক্রের মূল পান্ডারও দ্রুত পুলিশের জালে আসবে।এক লক্ষ পঁচানব্বই হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।পুলিশের ফোন পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ওই শিক্ষক মনোয়ারুল হোসেন।তিনি হাসি মুখে চাঁচল পুলিশকে ধন্যবাথ জানিয়ে বলেন,টাকার জন্য ছেলের পড়াশুনা ব্যাহত হতে যাচ্ছিল।টাকা পাব,এই আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম।পুলিশ হাত লম্বা এতেই প্রমাণ মিলল।শুধু ওই শিক্ষক নন,পুলিশের এহেন কর্মকান্ডে প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিয়েছে চাঁচলবাসীও।