সুভাষ চন্দ্র দাশ, গোসাবা —নদীনালা,গাছপালার জঙ্গলে ঘেরা রোমহর্ষক পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ব-দ্বীপ সুন্দরবন। দক্ষিণ২৪ পরগণা ১৩টি এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা ৬টি ব্লক নিয়ে গঠিত সুন্দরবন।৩৫০০ কিমি নদী বাঁধ সহ বিভিন্ন নদীনালা বেষ্টিত ৪০০ প্রজাতির গাছগাছালি সহ বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর বসবাস রহস্যময় ঘেরা সুন্দরবনে। যা সুন্দরবন ছাড়া সারা বিশ্বে বিরল।রহস্যময়ী সুন্দরবনের জঙ্গলে একছত্র ভাবে রাজত্ব করে আসছে পৃথিবী বিখ্যাত হিংস্র “রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার”। বর্তমানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়,খাদ্যের সংকট ও মনুষ্যকুলের সৌজন্যে বাঘের উপর অত্যাচারের চাপে সুন্দরবন জঙ্গলের বাঘের সংখ্যা নিত্যান্তভাবে কমেই গেছে। আর যাতে করে বাঘের বংশ বৃদ্ধি এবং জঙ্গলে খাদ্যের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয় তার জন্য সরকারী ভাবে চলছে নানান কর্মযঞ্জ।সুন্দরবনের সেই বিখ্যাত বাঘকে বাঁচানোর তাগিদে বৃহষ্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার প্রত্যন্ত গোসাবা ব্লকের সজনেখালিতে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ এর সৌজন্যে পালিত হল “বিশ্ব বাঘ দিবস”। উল্লেখ্য বিগত ২০১০ সালের ২৯ জুলাই থেকে এই বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হয়ে আসছে সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ক্ষেত্র অধিকর্তা তাপস দাস,সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প উপক্ষেত্র অধিকর্তা জাস্টিন জোন্স,গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডল,জেলাপরিষদ সদস্য অনিমেশ মন্ডল,গোসাবার বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষা ও বাঘ বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হয় সুন্দরবনের গোমর নদীতে।নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা মিলিল ভাবে বিভক্ত হয়ে মোট আট টি নৌকা নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য সুন্দরবন জঙ্গলে বাঘ ছাড়া যেমন অন্য কিছুই বোঝায় না ঠিক তেমনই বাঘ কে বাঁচানোর তাগিদে জঙ্গল লাগোয়া সুন্দরবন বাসী সহ প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় বাসিন্দাদের কর্তব্য ও কি করনীয় সেই সম্পর্কিত আলোচনা হয় এদিনের অনুষ্ঠানে।স্থানীয় বাাসিন্দার যাতে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের সাথে সর্বদা সহযোগিতা করেন তার আবেদনও করা হয়।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা তাপস দাস বলেন ‘বর্তমানে সুন্দরবনে ৯৬ টি বাঘ রয়েছে।ব্যাঘ্র দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল বাঘ কে বাঁচানো। যার ফলে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন উপায়ে সচেতনতা করা। ’