মালদা; নিজস্ব সংবাদদাতা :- শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ইডি হেফাজতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা সঙ্গে উঠে এসেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠা একাধিক নারীর নাম। অর্পিতা,মৌমিতা, অহনা,সোমা,মোনালিসার পরে এবার মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকার এক তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল। ভাইরাল হওয়া ছবিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা কিষাণ সেলের সদস্যা তথা সক্রিয় যুব তৃণমূল কর্মী সালমি খাতুন কে। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই কটাক্ষ করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নতুন বান্ধবী হিসেবেও। এদিকে এলাকারই কিছু বিরোধী নেতারা বলছেন হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় শিক্ষক নিয়োগেও সালমি খাতুনের মাধ্যমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। এদিকে এই ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাল্মি খাতুনের হুমকির শিকার হতে হয় সাংবাদিকদের। তিনি এলাকারই এক সাংবাদিক কে শীলতাহানির মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ প্রসঙ্গে শালমি খাতুন জানিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তার অনেক ছবি রয়েছে তার মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একজন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও আমার ছবি আছে তাই বলে কি আমি বিজেপি করছি। দলীয় মিটিং এ গিয়ে আমি তখন প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে একটি সেলফি তুলেছিলাম। আর এই ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়াবাড়ি হচ্ছে।যদিও গোটা ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত দুর্নীতি যুক্ত নেতা রাজ্য জুড়ে একাধিক দুর্নীতি করেছে।এলাকার এক তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ছবি ভাইরাল হয়েছে জানতে পেরেছি। এর পিছনে আরো কোন রহস্য আছে কিনা তদন্তকারী সংস্থা গুলো খতিয়ে দেখুক। অন্যদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব।
।।ছবির সততা যাচাই করেনি সব খবর।।।