পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় পি ডব্লু ডি জায়গার ওপর দীর্ঘদিন ধরে থাকা তৃণমূল দলীয় আই এন টি টি ইউ সি এর কার্যালয় গড়ে উঠেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁশকুড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও পি ডব্লু ডি ইঞ্জিনিয়ার দুটি জেসিবি দিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তাঁরই প্রতিবাদে আইএনটিটিইউসি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। স্থানীয় কিছু তৃণমূলের নেতৃত্বদের দাবি ৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলীয় কার্যালয় বিক্রি করা হয়েছে,আর যারা বিক্রি করেছে তাঁরা ওই দলের একটা অংশ বলে মনে করছেন। তাঁরাই পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভেঙে ফেলেছে এমনটাই অভিযোগ আইএনটিটিইউসির।
তাঁর প্রতিবাদে পাঁশকুড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল সহ প্রতিবাদ সভা করে আইএনটিটিইউসি।
আই এন টি টি ইউ সি অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে পাঁশকুড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মুফলেশ্বর দত্তের বক্তব্যে অভিযোগের আঙ্গুল উঠল পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যানের দিকে। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন থুতু যদি ওপর দিকে ফেলি তবে নিজের গায়ে পড়বে , তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু চমকধারী নেতা লড়াই সংগ্রাম কাকে বলে যদি জানত তবে এই পার্টি অফিস বিক্রি করত না। দল করতে হলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দল করতে হয় কিছু ক্ষমতাবান নেতা ঝান্ডাকে সামনে রেখে বড় বড় ডায়লগ মেরে ক্ষমতা পাওয়া যাবে কিন্তু দলের নেতা সাজা যায় না। আজকের ঘটনা পাঁশকুড়ার লজ্জা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর কাছে লজ্জা। আমি চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করতে চাই আপনি পাঁশকুড়া পৌরসভার পৌরপিতা, আপনার ইন্ধনে এই পার্টি অফিসটা ভেঙে চুরমার হয়েছে। আপনার বিনা পারমিশনে ইঞ্জিনিয়ার রিপোর্ট পাঠায়নি,কিছু নেতা আপনাকে টাকা দিয়েছে, আপনি ইঞ্জিনিয়ারকে হাত করে এই পার্টি অফিসকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছেন।
আমরা আই এন টি টি ইউ সি এর কর্মীদের নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এখানে আবার পার্টি অফিস গড়ে তুলব, অফিস হবে এখানে কারোর বাবার ক্ষমতা নেই অফিস বন্ধ করে দেবে।
অন্যদিকে পাঁশকুড়ার সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুজিত রায় বলেন
৯লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যারা বিক্রি করেছেন তাঁদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন জাগেনি তৃণমূল কংগ্রেস দলটা আমার মা, আমাদের জন্মদাত্রী মা ছিল বলে আমরা পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছি। আর এই তৃণমূল কংগ্রেস দলটা ছিল বলে আমরা কেউ সভাপতি কেউ চেয়ারম্যান কেউ কাউন্সিলর বা কেউ ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছি।
আজকে আপনি সেই মাকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এমনকি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও তিনি বলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর এসে ওই পার্টি অফিসের একটা অংশ ছেড়ে দেয় , আই এন টি টি ইউ সি এর পক্ষে যিনি ওই খাতায় সই করেছেন তিনি আই এন টি টি ইউ সি এর কেউ নয়।সেই জায়গা কিছুটা ছেড়ে একটা প্রাচীর তুলে দেওয়া হয়েছিল,যে ব্যক্তি অভিযোগ করেন তাঁর বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রাচীর সহ পার্টি অফিস ভাঙার পেছনে আমাদের দলের একটা অংশ যুক্ত আছে আমরা প্রকাশ্যে বলেছি আবারও বলছি।
আর এক তৃণমূল নেতার মুখে আই এন টি টি ইউ সি এর দলীয় কার্যালয় ৯লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার কথা শোনা যায়।
যা নিয়ে আবারও রীতিমতো গোষ্ঠি কোন্দল প্রকাশ্যে এল।
এমনকি ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিপ্তী জানা মন্তব্য করেন দলীয় কার্যালয় ওই জায়গায় কিছু থাকলে ভাবার বিষয় ছিল কিন্তু খালি জায়গা রয়েছে তবুও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল, তাঁর মানে কি প্রোমোটারি ব্যবসা হচ্ছে,দানছত্র খুলে বসেছেন।
তবু দলের সবাইকে বলব উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই, শান্তশিষ্ট ভাবে এর মোকাবিলা করতে পারব।
এখানে অফিস ছিল, অফিস আবার হবে,সময় হলে আবার হবে। কিন্তু ছেড়ে যাওয়ার যায়গা নয়। ঠান্ডা মাথায় লড়াই করব লাঠি ধরার দরকার নেই তাতেই বিরোধী গোষ্ঠী কুপোকাত হয়ে যাবে।
ফিতে হাতে মাঠে ঘোরা লোকজন করে খাওয়ার জন্য এই কাজটা করেছে।