সুভাষ চন্দ্র দাশ, বাসন্তী :- বর্তমানে খোলাবাজারে নেশা ও মাদকজাত দ্রব্যের রমরমা।জীবনের ঝুঁকি স্বত্বেও সাধারণ মানুষ নেশার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বুঁদ হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন।বিশেষ করে প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় আদিবাসী মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত তারা নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে।ক্যানসার সহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।এছাড়াও বর্তমানে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে।যাতে করে সুন্দরবন এলাকায় ক্যানসার রোগের প্রাদুর্ভাব একে বারেই নির্মূল হয় সেই লক্ষে এগিয়ে এলেন বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়িয়া গ্রামের সচেতন যুবক আদিত্য সরদার,অবনী মন্ডল,শুভঙ্কর মিস্ত্রী,কৃষ্ণ সরদার,সৌভিক হাইত,অপূর্ব নস্কর’রা।
তাঁদেরই উদ্যোগে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের আদিবাসী অধুষ্যিত এলাকায় বৃহষ্পতিবার এক ক্যানসার সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ক্যানিং স্পন্দন ও কলকাতা চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল ক্যানসার হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ সুব্রত ঘোষ,ডঃ সন্দীপ সাহু,ডঃ মেঘা নন্দোয়ানী,রাকিবা বেগম,পৌলমী ঘোষাল সহ অন্যান্য চিকিৎসকরা।এদিন এলাকার ২০০ জন এই ক্যানসার সচেতনতা শিবিরে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্যে পরীক্ষা-নীরীক্ষা করেন।মহিলাদের সংখ্যা ছিল ১২০ জন।শিবিরে ক্যানসার সংক্রান্ত প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুজন মহিলার দেহে ক্যানসারের নমুনা পাওয়া যায়।তারা যাতে করে আগামী দিনে বিনাব্যয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে ক্যানসার কে হার মানাতে পারেন তার জন্য চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে আদিত্য সরদার জানিয়েছেন ‘ক্যানসার যাতে করে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে এবং সাধারণ মানুষ যাতে করে নেশাজাত দ্রব্য বন্ধ করেন তার জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’