বাঁকুড়া-ইন্দাস, আব্দুল হাই:- ভারতবর্ষের সংস্কৃতি যে সহমর্মিতার তা আবারও সেই দুর্লভ চিত্র উঠে এলো সাংবাদিকের ক্যামেরায়।
মহরম মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি পবিত্র অনুষ্ঠান, সেই মহরমের দুপুরে মাতমকে কেন্দ্র করে একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ছবি ধরা পরল।
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের চকসাপুর গ্রামে মুসলিমদের ধর্মগুরু পীর সংরক্ষিত হয়ে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালি পরিবার পালেদের বংশধরদের হাতে। মহরমের দুপুরে মাতমে বাঁকুড়ার ইন্দাসে এসে সম্মিলিত হয়েছে দুই ধর্ম অর্থাৎ হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের একাধিক মানুষ। প্রত্যেক ধর্মের মানুষরা একসাথে সম্মিলিত হয়ে পুজো অর্চনা প্রসাদ বিলি সহ আরো অন্যান্য কাজে একসাথে হাতে হাত মিলিয়েছে,শুধু তাই নয় এই অনুষ্ঠান নাকি হিন্দু ভাই-বোনেরাই পরিচালনা করে। যখন ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বারবার উঠেছে অসমপ্রীতির কিছু অমূল্য চিত্র যা নিয়ে তৈরি হয়েছে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ তখন আজকের মহরমের মাতমে অনুষ্ঠানে মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দুদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান নিঃসন্দেহে সম্প্রীতির দুর্লভ চিত্র বহন করে।
সুনীল কুমার পাল নামে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি জানান,ভারতবর্ষের খুব কম জায়গাতেই এরকম দৃষ্টান্ত আপনারা দেখতে পাবেন,আমরা চাই সম্প্রীতির বার্তা পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে যাক,একই সাথে ঝাঁজ ঘণ্টা বাজুক আর আজানের ধ্বনি শোনা যাক।
আবাদ মোল্লা নামে এক মুসলিম ধর্মের মানুষ জানান, পূর্বপুরুষ ধরে আমরা একইভাবে সম্মিলিত হয়ে আছি এবং ভবিষ্যতেও হবো।
আজকের এই দুর্লভ চিত্র যেন কবির ভাষাকে আবারও নতুন করে প্রাণ দেয়, – মরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।