সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – সম্পত্তি নিয়ে পারিবারীক বিবাদে গুরুতর জখম হলেন একই পরিবারের তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত ৩ নম্বর চড়াবিদ্যার পশুপতি দোলুই পাড়া এলাকা। গুরুতর জখম হয়েছেন বাঁটুল দোলুই ও তাঁর স্ত্রী বৃহষ্পতি দোলুই ও শাশুড়ি একাদশী কালসা।গুরুতর জখম অবস্থায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জখমদের কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান তাদের অবস্থা সঙ্কজনক হলে চিকিৎসকরা তাদের কে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বর্তমানে তিনজনই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে আক্রান্ত পরিবারের লোকজন বাসন্তী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ১৮ কাঠা একটি পুকুর নিয়ে দোলুই পরিবারের মধ্যে গন্ডোগোল চলছিল।ঘটনার বিষয়ে বাসন্তী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাঁটুল।শনিবার রাতে আচমকা বাড়িতে চড়াও হয় তার দুই দাদা মদন দোলুই,শশী দোলুই ও তাদের স্ত্রী অঞ্জনা,মামনী দোলুইরা।অভিযোগ কেন তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জানতে চায়।
অভিযোগ কিছু বলার আগেই লাঠি,ধারালো দা নিয়ে চড়াও হয়ে বাঁটুল কে বেধড়ক মারধর করে। স্বামী কে বাঁচাতে এগিয়ে আসে বৃহষ্পতি। তাকে বেধড়ক মারধর করে ধারালে দা দিয়ে কোপা মারা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি সেই সময় মারধোরের হাত থেকে মেয়ে জামাই কে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে একাদশী কালসা। তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনই চিকৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসে। সুযোগ বুঝে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা জখমদের কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে স্থানীয় একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের কে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য।