বেহাল কাঠের সাঁকো,কংক্রিট সেতু করার দাবী গ্রামবাসীদের।

0
275

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – যাতায়াতের একমাত্র কাঠের সেতুর অবস্থা সংকট জনক।ছোট-বড় দুর্ঘটনা প্রায়ই লেগেই রয়েছে।যেকোন মুহূর্তে কাঠের সাঁকোটি খালে জলে ভেঙে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।সে ক্ষেত্রে হতে ঘটতে পারে অসংখ্য প্রাণহানির ঘটনা।আর সেই আশাঙ্কার কারণে জরাজীর্ণ কাঁঠের সাঁকোর পরিবর্তে যাতায়াতের সুবিধার জন্য কংক্রিটের সেতু তৈরী করার দাবী তুললেন গ্রামবাসীরা।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার অন্তর্গত সেচ দফতরের এক খাল রয়েছে। খালটি ক্যানিংয়ের ডাবু পর্যটন কেন্দ্র থেকে বারুইপুরের উত্তর ভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত।সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সেচ দফতরের ওই খালের উপর বেশ কয়েকটি পাকা সেতু রয়েছে।তেমনই ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ অঙ্গদবেড়িয়া ও তার বিপরীতে রয়েছে উত্তর অঙ্গদ বেড়িয়া গ্রাম। মাঝে সেচ দফতরের খাল। সেই খালের উপর বিগত প্রায় ত্রিশ বছর আগে একটি কংক্রীটের সেতু তৈরী হয়েছিল। বিগত প্রায় ১০ বছর আগে সেতু টি ভেঙে পড়ে।সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য ভগ্ন সেতুর পাশেই একটি কাঠের সাঁকো তৈরী করা হয়েছিল সেচ দফতরের উদ্যোগে।বর্তমানে সেই কাঠের সাঁকোটির অবস্থাও অত্যন্ত বেহাল।ওই সাঁকো দিয়ে স্থানীয় ট্যাংরাখালি বঙ্কিম সরদার কলেজ,ট্যাংরাখালি আইটিআই কলেজ,ট্যাংরাখালি পরশুরাম-যামিনীপ্রাণ উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুল সহ এলাকার প্রায় ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী সহ নিকারীঘাটা,দাঁড়িয়া,হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতর সুন্দিপুকুরিয়া,মৌখালি,গোবরামারী,হাতামারী,রামামারি,নারিকেলতলা,পাঙ্গাশখালি এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন নিত্যদিন। এমনকি তালদি স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে যাওয়ার জন্যও নিত্যযাত্রীরা ওই ভগ্নসেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন।এছাড়াও এলাকার মানুষের বিপদে আপদে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে আসতে হয়।এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রসুতি মায়েদের কে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসতে হয় ওই ভগ্ন সেতু দিয়েই।
এলাকার বাসিন্দা খোকন হালদার,পম্পা দেবনাথ,নওসেদ নস্কর,অর্পিতা সরদারদের দাবী ‘আমাদের একমাত্র যাতায়াতের পথ এই কাঁঠের সাঁকো। তা নাহলে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরপথে ক্যানিং ষ্টেশন,মহকুমা হাসপাতাল কিংবা তালদি পৌঁছাতে হবে। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।সরকারের কাছে আমাদের দাবী,হাজার হাজার স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে খালের উপর একটি কংক্রীটের ব্রীজ তৈরী করা হোক। তাহলে আর সমস্য থাকবে না।’
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেচ দফতরের এক আধিকারীকের কথায় ‘কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন ফান্ডের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।তারপর এমন একটি কংক্রিটের সেতু তৈরীতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।কেন্দ্র সরকার ঠিকঠাক বরাদ্দ করলে আগামীতে সেতু তৈরী করা সম্ভব’।
অন্যদিকে এলাকার মানুষজন চাতকের মতো অপেক্ষায় রয়েছেন কবে তাঁদের যাতায়াতের সমস্যার সমাধান হয়।