মানবিক যুবক ও চিকিৎসকের চেষ্টায় বিপদ কাটলো শিশুর।

0
272

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – মানবিক যুবক আর চিকিৎসকের যৌথ চেষ্টায় প্রাণ রক্ষা হলো এক বছর তিন বয়সের শিশুর।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার উত্তর চুনাখালি গ্রামে।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বাসন্তী থানার অন্তর্গত চুনাখালি গ্রামের সাহেব হালদার ও মধুমিতা হালদারের এক মাত্র সন্তান গণেশ ওরফে সোমনাথ। গত কয়েকদিন আগে ওই শিশু কে তার মামার বাড়ি উত্তর চুনাখালি গ্রামে রেখে যায় দম্পতি।বুধবার সকালে মামার বাড়িতেই খেলছিল গণেশ। পরিবারের সদস্যরা মাঠে গিয়েছিলেন চাষের কাজ করার জন্য।
বাড়িতে প্রচুর কেট এর উপদ্রব হওয়ায় কেট মারার ওষুধ নিয়ে রেখেছিলেন ওই শিশুর দাদু ভোলা নস্কর।পরিবারের লোকজন যখন মাঠের কাজে ব্যস্ত,ঠিক সেই সময় কেট মারার ওষুধ হাতের কাছে পেয়ে খেয়ে গায়ে মাখে ওই শিশু।দুপুর নাগাদ মাঠ থেকে থেকে বাড়িতে ফিরতেই নজরে পড়ে ওই শিশুর দাদু ভোলা নস্করের।বিপদ বুঝতে পেরে কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না তিনি।তবে তড়িঘড়ি ওই শিশু কে কোলে নিয়ে একটি অটোয় চেপে বেরিয়ে পড়েন হাসপাতালের উদ্দেশ্যে।বিধি বাম!অটোটি মাঝরাস্তায় বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া এলাকায় বিকল হয়ে পড়ে।প্রবল বর্ষনে রাস্তায় কোন যানবাহন না পেয়ে নিশ্চিত বিপদ বুঝতে পেরে কাঁদতে থাকে।সেই সময় বাসন্তী থেকে ক্যানিংয়ের দিকে আসছিলেন জনৈক যুবক সত্যজিৎ মন্ডল।তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন ভোলা।বিপদ হতে পারে বুঝতে পেরে মুহূর্তে কোন প্রকার চিন্তা না করে ওই শিশু ও তার তাদু কে বাইকে তুলে নেন ওই যুবক। দ্রুততার সাথে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য।সেই সময় হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে রোগী দেখছিলেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিশেষঞ্জ চিকিৎসক আলমগীর হোসেন। তিনি দৌড়ে আসে শিশু বিভাগে। তড়িঘড়ি ওই শিশুর চিকিৎসা শুরু করেন।
ডাঃ আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন ’‘বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে। বিপদ নেই। তবে দেরী করে নিয়ে আসলে বড় ধরনের বিপদের সম্মূখীন হতে হতো ওই শিশুর পরিবারের লোকজনদের কে।’
অন্যদিকে শিশুর পরিবারের লোকজন জনৈক মানবিক যুবক সত্যজিৎ মন্ডল ও ডাঃ আলমগীর হোসেন কে কৃতঞ্জতা জানিয়ে বলেন ‘বিপদের মুহূর্তে ওই যুবক এবং চিকিৎসক যে মানবতার দৃষ্টি রেখেছেন,সেই ঋণ কোন ভাবেই শোধ করার নয়।’