পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- ওজন মাত্র ৬০০ গ্ৰাম । শিল্পীর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ইতিমধ্যেই তৈরি জামদানি শাড়ি । বিশেষ ডিজাইনের শাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্ৰাম থেকে পাড়ি দিচ্ছে সুদুর ইংল্যান্ডের মাটিতে । সেখানেই বিয়ের আসরে পাত্রী পড়বেন এই পছন্দের শাড়ি । ক্যুরিয়র সংস্থার মাধ্যমে এবার লাল টুকটুকে জামদানি শাড়ি পাড়ি দেবে বিদেশে । ইতিপূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিল জামদানি শাড়ি এবার ইংল্যান্ড । উচ্ছ্বসিত শিল্পী সুশান্ত দে । প্রায় ৩২ দিন এর একটানা পরিশ্রম শেষে অবশেষে পরিসমাপ্তি ঘটলো । তৈরি হল লাল টুকটুকে জামদানি ।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ গ্ৰাম ।
বংশ পরম্পরায় বহুজন তাঁতের শাড়ি তৈরী করেন এখানেই । ঘোড়ানাশ গ্ৰামের ই বাসিন্দা সুশান্ত দে । তাঁতশিল্পী হিসাবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তাঁর । জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত ও হয়েছেন তিনি তার শিল্পভাবনার প্রকাশের জন্য ।
বাড়িতে স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে । স্ত্রী লক্ষীদেবী তিনিও স্বামীর সাথে তাঁতের কাজ করেন । সেই সুশান্তবাবুর হাতে তৈরি জামদানি যাচ্ছে ইংলান্ডে প্রবাসী ভারতীয় কন্যার জন্য। বেনারসির বদলে জামদানি শাড়ি পড়ার জেদ পাত্রীর ।
তামিলনাড়ুর এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বরাত পান সুশান্ত দে । তিনিই ডিজাইন দেন । ইংল্যান্ডের বসবাসকারী প্রবাসীদের সাথে তামিলনাড়ুর ব্যবসায়ী পল্লব চন্দ্রের পরিচিতি । পল্লব বাবুর মেয়ে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ।
পল্লব চন্দ্রের মেয়ের বিয়েতেও শাড়ি তৈরী করেছিলেন সুশান্ত দে । মেয়ের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় রয়েছেন ইংল্যান্ডে । সেই সুত্র ধরেই বরাত এসে পৌঁছায় ফের তার কাছে বলে জানিয়েছেন জামদানি শিল্পী । তিনি জানিয়েছেন , লাল সিল্কের উপর সাদা সুতো ও সোনালী রঙের জরি দিয়ে জামদানি শাড়ির ডিজাইন তৈরী করা হয়েছে ।
হাতেবোনা শাড়ি আন্তর্জাতিক বাজারে এই শাড়ির দাম প্রায় ৩৫ হাজার টাকা । কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।পরিশ্রমের শেষে তৃপ্তির হাসি সুশান্ত দে ও তাঁর স্ত্রী লক্ষী দেবীর ও ।