কঙ্কাবতীর দুঃসাহস (ধারাবাহিক উপন্যাস, অষ্টম পর্ব) : দিলীপ রায় (+৯১ ৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।

0
685

মালদা ইন্টারসিটি ট্রেন থেকে বাজারসৌ স্টেশনে নেমে গেলো মনীষা । 
     পরের ট্রেন আসতে দেরী । তাই তার কেনা জায়গাটা দেখতে প্লাটফর্ম থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো । দোকানের জায়গায় এসে মনীষার চক্ষু চড়কগাছ ! তার কেনা জায়গায় কয়েকটা উঠতি বয়সের ছেলে মিলে আড্ডা দিচ্ছে । উঠতি বয়সের না বলে বরং বলা ভাল বকাটে ছোকরা । একজন টোটোওয়ালা এগিয়ে এসে মনীষার কানে কানে ফিসফিস করে বলল, “ছেলেগুলো এই জায়ায় ক্লাব ঘর বানাতে চায় । ফাঁকা জায়গা পেয়ে জবর দখলের ধান্দায় রয়েছে । তুমি সত্বর দোকান ঘর চালু না করলে, ছোকরাগুলো  আগামীদিনে তোমার জমির জবর দখল নিয়ে নেবে ।  তখন তাদের ওঠানো দায় হয়ে দাঁড়াবে ?” 
       রহমত কাকা চিন্তা করো না । আমি এখনই  ওদের তাড়িয়ে ছাড়ছি । আমার  কেনা জায়গায় বসে আড্ডা দেওয়া । মদ-গাজা খাওয়া । ছোটাচ্ছি ওদের বুজরুকি । বলেই হন্তদন্ত হয়ে নিজের জায়গায় এসে মনীষার হুমকি, “এখানে বসে কীসের আড্ডা ! শিগ্‌গির  এখান থেকে পালাও ! এটা আড্ডার জায়গা নয় । এটা আমার কেনা জায়গা । এখানে বসে আড্ডা বা মস্তানি চলবে না ।“
     মোট আটটি ছেলে । ছেলে তো নয়, দেখতে বিদঘুটে মস্তান ধরনের ! একজন হা করে মনীষার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মুচকী হেসে বলল, “কী বললে, আমরা শুনতে পাইনি । আমরা বাজারসৌ স্টেশনের ভদ্র ঘরের ছেলেপুলে । কীসব মস্তানি-টস্তানি বললে ! ভালভাবে কথা বলা শেখোনি ?”
     এই তো সব শুনতে পেয়েছো । ন্যাকামী করে বলার কী দরকার ছিল, “আমরা শুনতে পাইনি ।“ 
         কানের কাছে বেশি ফ্যাচফ্যাচ করো না । ফ্যাচফ্যাচ আমাদের ভাল লাগে না । দেখতে পাচ্ছ, আমরা বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে বসে তাস খেলছি । তাস খেলা হয়ে গেলে আমরা উঠে পালাবো  ।  
     তাস খেলা হয়ে গেলে নয়, এখনই পালাতে হবে । কেননা আমি ভাঙ্গাচুরা পরিষ্কার করবো । তারপর পরের ট্রেনে বাড়ি ফিরব ।  সুতরাং আমার তাড়া আছে । এবার শিগ্‌গির উঠে আমাকে উদ্ধার করো, নতুবা ট্রেনটা ফেল করবো ।
     “আবার জ্বালাতন !” অন্য আরেকজন চিৎকার করে উঠলো ।
     জ্বালাতন তোমাদের কেন, জ্বালাতন তোমরা আমাকে করছো ? আমার জায়গায় বসে আবার আমাকে চোখ রাঙাচ্ছো ! তোমাদের আস্পর্ধা তো কম নয় ! তোমাদের আস্পর্ধা দেখে আমি  অবাক হচ্ছি ! বারবার বলা সত্ত্বেও তোমাদের ওঠার কোনো হেলদোল নেই ।  ঠ্যাঁটার মতো আমার জায়গায় দিব্যি বসে,  আমাকে তড়পাচ্ছ ?
     যদি আমরা না উঠি, তুমি কী করবে ?
    একটা কথা আগেই বলে রাখি, “তোমরা এমন কিছু করবে না, যাতে তোমাদের ওঠাতে আমাকে রণমূর্তি ধারন করতে হয় ?”
     এই কথা শোনার পর সবাই মিলে হিঃ হিঃ করে হেসে উঠলো । 
     পরক্ষণেই একজন বলে উঠলো, “মেয়েছেলে হয়ে তুমি কী আমাদের আটজনের সঙ্গে লড়াইতে পারবে ?
    সেটা তোমরা যথাসময়ে টের পাবে ! আর একটা কথা, ‘মেয়েছেলে’  শব্দটা আর কখনও মুখ দিয়ে উচ্চারণ করবে না । মনে রেখো, এই মেয়েছেলে কিন্তু তোমার মা ।
    তারপর তাদের আবার বিশ্রি হাসি । 
    ট্রেন চলে আসায় মনীষা প্লাটফর্মের দিকে ছুটলো । তবে ছোটার আগে ছেলেগুলোকে বলে গেলো, “আমার এখন তাড়া আছে । আগামীকাল তোমাদের সঙ্গে বোঝাপড়া হবে !” 
    হাসি থামিয়ে একজন চিৎকার করে মনীষাকে বলল, “তোমার মতো কতো মেয়েছেলেকে দেখলাম । মুখেই শুধু ফটাং ফটাং ! কাজে নবডঙ্কা । যা পারিস করে নিস্‌ । আমরা এই জায়গা ছেড়ে উঠছি না ।“
    তাদের কথায় কান না দিয়ে মনীষা ছুটে ট্রেনে উঠে পড়লো ।
    ট্রেনে উঠে মনীষা ঠিক করলো, শীঘ্রই ঘরটাতে দোকান চালু করতে ।  কেননা ইতিমধ্যে উৎপাত শুরু হয়ে গেছে । পরবর্তীতে উৎপাত বেড়ে গেলে সামলানো কঠিন হতে পারে । তাই সিদ্ধান্ত নিলো,  যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দোকান চালু করা ।
      ইতিমধ্যে একজন হিতাকাঙ্খী হকার মনীষাকে পরামর্শ দিয়েছিল, বাজারসৌ স্টেশনে দোকান খোলার ব্যাপারে স্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে ।  আর্থিকভাবে ব্যাঙ্ক কিছুটা হলেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে । তাঁর কথাটা মনীষা মনে রেখেছে । তাই সে চাইছে, এবার ব্যাঙ্কের ম্যানেজারবাবুর স্মরণাপন্ন হবে । যদি কিছু সহযোগিতা পাওয়া যায় ! তাহলে তার পক্ষে দোকান খোলা সহজ হবে ।  
    পরেরদিন সকালে মনীষা ট্রেনে হকারির কাজে গেলো না । বাড়িতে মাকে (কঙ্কাবতীকে) জানিয়ে এলো, দোকানটা খোলার ব্যাপারে বাজারসৌ স্টেশন যাচ্ছে ।  একটা বড় ব্যাগে ঘর গোছানোর কাজের কিছু জিনিসপত্র সঙ্গে নিলো । বাড়িতে রাখা কিছু লোহার রড ছিল । সেগুলোও সঙ্গে নিলো । ব্যাঙ্কে দরকারে লাগতে পারে যেসব কাগজপত্র যেমন দোকান ঘরের দলিল, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি সঙ্গে নিলো ।  মনীষার হাতে বড় ব্যাগ দেখে কৌতুহলবশত ঘোতন জিজ্ঞাসা করলো, “বড় ব্যাগ নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস ? আমাকে কী তোর সঙ্গে যেতে হবে ?” 
  “না দাদা ! আমি বাজারসৌ স্টেশনে যাচ্ছি । জায়গাটাতে দোকান ঘর খোলা দরকার । সেই ব্যাপারে পুরানো ঘরটা মেরামত করতে যাচ্ছি । তোর যাওয়ার দরকার নেই । আমি একাই পারব ।“ মনীষা ছোড়দাকে বুঝিয়ে বলল । 
    “কীসের দোকান খুলতে চাইছিস, জানালি না তো ?” ঘোতন পুনরায়  জিজ্ঞাসা করলো । 
     আপাতত সকালে পরোটা, কচুরি ও সঙ্গে ছোলার ডাল অথবা আলুর তরকারি । আর বিকেলে শুধু সিঙ্গারা । এছাড়া চা ও বিস্কুট থাকছে ।
     এই ধরনের খাবারের দোকান খোলার ব্যাপারে তোর যুক্তি কী ? 
     দোকান ঘরটার পাশে রিক্সা স্ট্যান্ড এবং উল্টোদিকে টোটো স্ট্যান্ড । তারা সকালে টিফিন হিসাবে পরোটা  বা কচুরি খেতে  অভ্যস্ত । তা ছাড়া ট্রেনের যাত্রীরাও সকালের ট্রেনে ওঠার আগে জলখাবার  খেয়ে  ট্রেনে উঠতে পারবে । সেই কারণে সিদ্ধান্ত নিলাম, কচুরি ও পরোটার দোকান খোলার । আর বিকেলে শিঙ্গারা  ।  
    “তোর সিদ্ধান্তের সাথে আমি সহমত ।“ বলেই ঘোতন তার বোনের মাথায় হাত দিয়ে বলল, “আমাকে দরকার লাগলে বলবি । ডাকলেই সঙ্গে সঙ্গে হাজির !”
     মনীষা বাজারসৌ স্টেশনে নেমে সোজা শক্তিপুর বাজারে গেলো  । সেখান থেকে ত্রিপল, কড়াই, বাসন, ইত্যাদি কিনে পুনরায় বাজারসৌ স্টেশনের দোকানে ফিরলো । সূর্য তখন প্রায় মাথার উপরে । ভীষণ খিদে পেয়েছে । মনীষা ভাবলো, ত্রিপল টাঙিয়ে তারপর খেতে যাবে । যাতে খাওয়া থেকে ফিরে এসে অন্যান্য কাজ সারতে পারে । ঘরের যা পরিস্থিতি তাতে ত্রিপল টাঙিয়ে দোকান খুলতে কোনো অসুবিধা নেই । কিছু ইট আগের দিন এনে রেখে গিয়েছিল । ত্রিপল টাঙানো হয়ে গেলে সে উনুন বানিয়ে ফেলবে । যেমনি ভাবনা, তেমনি কাজ ।  পুরানো ঘরটার চালায় ত্রিপল টাঙালো । তারপর দূর থেকে কাদা-মাটি এনে ইট দিয়ে উনুন বানিয়ে ফেললো । এরপর হাত-মুখ ধুয়ে বাস স্ট্যান্ডের পাশে ধরণীর দোকানে রুটি তরকারি খেতে গেলো । 
    বাজারসৌ স্টেশন চত্বর মনীষার পুরানো জায়গা । লোকজনও অনেকেই চেনা-জানা । মনীষাকে দেখতে পেয়ে অনেকেই তার দোকান খোলার  খোঁজ খবর নিলো । সকলের কথার উত্তর হাসি মুখে  দিলো মনীষা । তারপর ধরণীর দোকানে পাঁচটা রুটি ও ছোলার ডাল খেয়ে মনীষার শান্তি ।
     দোকানে ফিরে এসে মনীষা রাগে গজরাচ্ছে ! ফিরে এসে দেখে, সেই গুণ্ডা ছেলেগুলি তার দোকান ভেঙ্গে তছনছ  । টাঙানো ত্রিপল নামিয়ে টেনে হিচড়ে ছিঁড়ে ফেলেছে । উনুন ভেঙ্গে ইটগুলি রাস্তায় ছুড়ে ফেলেছে  । তার দোকান দেখে মনে হচ্ছে কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডবে দোকান-ঘর ভেঙ্গে চুরমার ! মনীষাকে দেখেও তারা পালাচ্ছে না । মনীষা গুণ্ডাগুলিকে দেখতে পেয়ে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারল না  । রাগে মনীষা অগ্নিশর্মা  । গুণ্ডাগুলিকে শায়েস্তা করতে মরিয়া ।  ব্যাগ থেকে লোহার রড বের করে সামনের একজনকে নিশানা করে তার পিঠে সটান রডের আঘাত ! রডের আঘাতে সে মাটিতে শুয়ে পড়ল । মনীষা তাদের উপর ঐভাবে প্রতি আক্রমন করবে কখনই তারা ভাবতে পারেনি । একজনকে শুয়ে পড়তে দেখে অন্যগুণ্ডাগুলি মনীষার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল । মনীষা লোহার রড দিয়ে ক্রমাগত  এলোপাথারি মারতে থাকলো । তবুও অতগুলি গুণ্ডার সাথে পেরে উঠছিল না । রাস্তার লোকজন ঠুটো জগন্নাথ । কেউ মনীষার পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে না । চুপচাপ দাঁড়িয়ে মারপিট উপভোগ করছে । গুণ্ডারা মনীষার ঘাড়ে আঘাত করার জন্য ভীষণ চোট পেলো  । তবুও সে নাছোড়বান্দা । মনীষা মরিয়া । উপযুক্ত জবাব দিতে  শত কষ্ট হলেও  আজ গুণ্ডাদের যোগ্য জবাব দিতে মনীষা মরিয়া । মনীষার লোহার রডের আঘাতে ইতিমধ্যে চারজন পালিয়ে উধাও । দুটো মস্তান তখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে । মনীষা গাঁয়ের  শক্ত সামর্থ্য মেয়ে । আর তা  ছাড়া ক্যারাটে জানে । উপরন্ত তার হাতে লোহার রড । অন্যদিকে গুণ্ডাগুলি খালি হাতে মনীষার সঙ্গে লড়ছে । শেষের দুটো মনীষার সঙ্গে না পেরে চিৎকার করতে লাগল, “আজ রাতে তোকে যদি এলাকা ছাড়াতে না পারি তবে আমার নাম হালুই না । এখানে কীভাবে দোকান খুলিস আমরা দেখে নেবো ।“
    মনীষা তেড়ে গিয়ে হালুইয়ের জামার কলার ধরে হাপাতে হাপাতে বলল, “পরে যা করার করিস । আপাতত আমার দোকানের ত্রিপল ফেরত দিয়ে এখান থেকে নড়বি । নতুবা তোকে আমি জ্যান্ত পুড়িয়ে মারব । তোর কোনো বাপ্‌ এসেও বাঁচাতে পারবে না ।“   
       ইতিমধ্যে ঘোতন বোনকে বাড়িতে ফিরতে না দেখে উদ্বিগ্নভাবে স্বয়ং বাজারসৌ স্টেশনে এসে হাজির । তারপর বোনের মারপিটের খবর পেয়ে ছুটে হালুইকে আটকালো । তারপর শুরু হল ঘোতনের কেরামতি । নিমেষের মধ্যে গুণ্ডাদের মাথাকে ধরে মনীষার পায়ের কাছে ফেলে বলল, “এটাই তোর উপরে হামলার নাটের গুরু । এদের ক্ষমতা নেই এক ফোঁটা । অথচ অবাঞ্ছিত কাজ করে টাকা কামানোর ধান্দা । ভেবেছিল, তোকে চমকিয়ে বেশ কিছু টাকা হাতাবে ! যার জন্য ন্যক্কারজনক নোংরা কাজে গুণ্ডাগুলিকে পাঠিয়েছিল ।  এরা হচ্ছে “ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার” ধরনের । অবলা মেয়ে দেখে সুযোগের সন্ধানে দোকান ভাঙ্গার খেলায় মেতেছিল ।“   
      তারপর গুণ্ডাদের  মাতব্বরের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমরা তোদের পুলিশে দেবো না । যা করার আমরাই নিজেরা করব । জানে মরব না, তবে একটু পরেই টের পাবি দোকান ভাঙচুর করার ফল কী ? বাঁচতে চাইলে, এক্ষুণি ত্রিপল টাঙিয়ে দোকান যেমন ছিল, ঠিক তেমনি করার ব্যবস্থা কর্‌ । নতুবা আমার হাত থেকে তোদের কারও  নিস্তার নেই । “
       ঘোতনের হুমকিতে কাজ হল । তখন সন্ধ্যার অন্ধকার নামেনি । গুণ্ডাগুলি দলবেধে ত্রিপল কিনে এনে মনীষার ঘরটার চালায় মজবুতভাবে বেঁধে দিলো । ইট দিয়ে উনুন বানিয়ে দিয়ে মনীষার পা ধরে বলল, “তারা ভবিষ্যতে এই জঘন্য কাজ  আর করবে না ।“ 
      মনীষা দোকানে মোমবাতি ধরিয়ে খানিকক্ষণ বসলো । তারপর দাদার সাথে বাড়ি ফিরলো ।  
      দুদিন পরে পুনরায় মনীষা বাজারসৌ স্টেশনে  এসে দোকানের কাজে মন দিলো ।  
      মারপিটের খবর চারিদিকে রটে গেলো । যারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঐদিনের ঘটনার সাক্ষী, তারা এখন মনীষাকে অনেক সাহস জোগাচ্ছে । রিক্সাওয়ালা, টোটোওয়ালারা মনীষাকে বলল, “দিদি, আপনার জন্য এইসব উটকো মস্তানদের আস্ফালন এখন অনেকটা কমবে ।“
      মনীষা তাদেরকে বুঝিয়ে বলল, “সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকলে আমাদের বিরূদ্ধে কেউ টু শব্দ করতে সাহস পাবে না । আমার অনুরোধ রইল, আপনারা আমার পাশে থাকবেন । তাহলে কারও সাহস হবে না, হামলা করার ।“ 
      নিজের কাছে জমানো যতো টাকা ছিল, সেই টাকা দিয়ে দোকান চালু করার জন্য মনোনিবেশ করলো মনীষা । ঘরটা রাস্তার দিকে খানিকটা ঠিকঠাক করলো । সেখানে বড় একটা উনুন বানালো । মনীষা চাইছে, আপাতত চা বিস্কুট দিয়ে দোকান চালু করা । তারপর ধাপে ধাপে কচুরি ও পরোটা । তবে দোকানটা খুব চালু জায়গায় থাকায় মনীষার বিশ্বাস, তার ব্যবসা খুব শীঘ্র জনপ্রিয়তা পাবে । 
      ঘোতন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বোনটার দোকান চালু করার জন্য বোনের সঙ্গে তার নিজেও আপ্রাণ চেষ্টা  । দুইজনের মিলিত প্রচেষ্টায় চারদিনের মাথায় দোকানের উনুন জ্বালানো সম্ভব হল ।  
    বাজারসৌ স্টেশনে চালু হয়ে গেলো “কঙ্কাবতী কেবিন” ।  

 (চলবে)