সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – পাড়ার দাদারা মদ খাওয়ার জন্য একশো টাকা চেয়েছিলো।সেই কথায় প্রতিবাদ জানিয়ে টাকা দিতে অপারগ এমনটাই জানিয়েছিলো।প্রতিবাদ করতেই পাড়ার দাদারা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।ঘ্টনায় গুরুতর জখম হয়েছেন একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান।এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার বিষয়ে পাড়ার দাদাদের নামে ক্যানিং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত দাঁড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার যুবক রামপ্রসাদ মন্ডল।রবিরার রাতে বাড়ির শিশুদের জন্য খাবার কিনতে পাড়ার মুদি দোকানে গিয়েছিলেন। সেখানে পাড়ার দাদা বলে পরিচিত ভোলা,সুশান্ত,অভিমান্য মন্ডল’রা বসেছিল।মদ খাওয়ার জন্য ১০০ টাকা চায় রামপ্রসাদের কাছে। মদের টাকা দিতে অপারগ জানিয়ে দেয় ওই যুবক।অভিযোগ মদের টাকা না পেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে পাড়ার দাদারা। এমন কথা ওই যুবক তার বাবা নেপাল ও মা সন্ধ্যা মন্ডল কে জানায়।কেন মদের টাকা চেয়ে ছেলে কে গালিগালাজ করা হয়েছে তা জানতে পাড়ার মুদি দোকানের কাছে যায়।অভিযোগ সেই সময় পাড়ার দাদা নামে পরিচিত ভোলা সুশান্ত,অভিমান্য’রা সন্ধ্যা দেবী কে বেধড়ক মারধর করে রাস্তার উপর আছাড় মারে। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে বাবা ও ছেলে। অভিযোগ তাদের কে ও বেধড়ক মারধোর করা হয়।পাড়ার দাদাদের অত্যাচারে জখম হয় স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ছেলে।প্রতিবেশীরা রাতেই তাদের কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে।বর্তমানে তিনজনই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।আহতদের মধ্যে সন্ধ্যা দেবীর অবস্থা আশাঙ্কাজনক।
ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।