দুই বছরের ঘুমন্ত শিশু সন্তানকে আছাড় দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো জেঠিমার বিরুদ্ধে।

0
225

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—দুই বছরের ঘুমন্ত শিশু সন্তানকে আছাড় দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো জেঠিমার বিরুদ্ধে। গায়ে কাঁটা দেওয়া এমন দৃশ্য মোবাইল বন্দী হতেই মালদা থানার যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানীরগড় এলাকা জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। অবশেষে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামবাসীরা সালিশি সভা করে অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রাম ছাড়া করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ওই মহিলা আবার যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী। এই ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রাম জুড়ে এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী।জখম ওই শিশুকে আপাতত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি একটি নার্সিংহোমে ভর্তির ব্যবস্থা করানো হয়েছে।*
ওই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত শিশুর মা অপর্ণা বিশ্বাস মাঝেমধ্যেই লক্ষ্য করতো তার ছেলের দুই বছরের সন্তানের কখনো নাক দিয়ে, আবার কখনো দাঁত দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। কি কারনে তা বুঝতে পারতেন না। হঠাৎ হঠাৎ করে ছেলের শোবার ঘরে কান্নাকাটি করতো। অনেকেই বলেছিল হয়তো তার ছেলের ওপর কোন অশুভ আত্মা ভর করেছে।ঝাড়ফুঁক করার জন্যও বলা হতো। কিন্তু ওই গৃহবধূর সন্দেহ দানা বাঁধে তার বড় জায়ের ওপর। অভিযুক্ত বড় জা ওই শিশুর সম্পর্কে জেঠিমা। অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম শিবানী বিশ্বাস। তার পরিবারের স্বামী অচিন্ত্য বিশ্বাস এবং দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে । কিন্তু ছোট জায়ের কোলের সন্তানকে আছাড় দিয়ে অভিযুক্ত বড় জা মারার চেষ্টা করছে এমনটাই সন্দেহ করে আক্রান্ত ওই শিশুর মা।
আক্রান্ত ওই শিশুর ঠাকুমা উষারানী বিশ্বাস বলেন , আমার নাতি মাঝেমধ্যেই ফাঁকা ঘরে আর্ত চিৎকার করে কেঁদে উঠতো। নাতির কান্নার কারণ কিছুতেই কিছু বুঝতে পারতাম না।হঠাৎ হঠাৎ দেখতাম ওইটুকুনি ছোট্ট নাতির নাকে, মুখে রক্ত লেগে আছে । বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। এরপরই মঙ্গলবার দুপুরে পুত্রবধূ অপর্ণা বিশ্বাস ঘরের মধ্যে মোবাইল ক্যামেরা অন করে রাখে তারপরেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার। হয়ে যায়।
ঊষারাণী দেবীর বক্তব্য, আমরা মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতে পাই বড় ছেলের স্ত্রী শিবানী বিশ্বাস ঘরে ঢুকে ছোট ছেলের স্ত্রী অপর্না বিশ্বাসের দুই বছরের ছেলেকে ঘুমন্ত অবস্থায় আছাড় দিয়ে মারার চেষ্টা করছে। এটা দেখে আমাদের গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। এত নৃশংস পুত্রবধূ হলো কি করে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বুধবার তড়িঘড়ি গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। সকলের সিদ্ধান্ত নিয়েই ওই মহিলাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্ত্রীর এমন আচরণে রীতিমত অসস্তিতে পড়েছে অভিযুক্তের স্বামী তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য অচিন্ত্য বিশ্বাস। তিনি অবশ্যই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেন নি।
মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, এমন ঘটনার কথা জানা নেই। তবে নির্দিষ্টভাবে যদি কোন অভিযোগ হয়, তাহলে আইনগত ভাবে কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।