কোচবিহার, ২০ আগস্টঃ অবৈধভাবে বিজ্ঞাপনের একটি হোর্ডিংয়ে ইলেকট্রিক সংযোগ দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আজ সকালে পুরসভার অফিসে আসার সময় সুনীতি রোডে জামতলা সংলগ্ন এলাকায় বিজ্ঞাপনের দুজনকে হোর্ডিংয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ করতে দেখেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। গাড়ি থামিয়ে ওই দুজনের সাথে কথা বলে আসল ঘটনা বুঝতে পারেই। তাঁদের ধরে সোজা কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান। সেখানেই তাঁদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। তিনি বলেন, “কথা বলে যতটা বুঝতে পেরেছি। ওই দুজন শিলিগুড়ির একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার। আদালতের বারন থাকা স্বত্বেও কয়েকদিন ধরে রাতের অন্ধকারে কিছু সংস্থা শহরে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং লাগাচ্ছে। এদিন দিনের বেলাতেই পুরসভার বিদ্যুৎ চুরি করে হোর্ডিংয়ে বাল্ব লাগানোর কাজ চলছিল। আমি ধরে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। গোটা বিষয়টি মহামান্য আদালতকেও অবগত করা হবে।”
রাজ আমলের পরিকল্পিত শহর কোচবিহার। কিন্তু বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং দিয়ে এই শহরের মুখ ঢেকে গিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসতেই শহরে হোর্ডিং লাগানো সংস্থা গুলো পুরসভাকে টাকা না দিয়েই ওই হোর্ডিং লাগাচ্ছিল বলে অভিযোগ তোলেন। বিজ্ঞাপনী সংস্থা গুলোকে ডেকে পাঠান। কিন্তু তাঁদের কোন রকম সারা না পেয়ে শহরে অভিযান চালিয়ে সমস্ত বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং খুলে ফেলে দেন। এরপরেই বিজ্ঞাপনী সংস্থা গুলোর সাথে পুরসভার লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে। পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনী সংস্থা গুলো বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন করে আর কোন হোর্ডিং যাতে না লাগানো হয়, তার নির্দেশ দেন। তারপরেও রাতের অন্ধাকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং লাগাণোর কার চলছিল বলে অভিযোগ।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা অবৈধভাবে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ে ইলেকট্রিক সংযোগের চেষ্টা, দুজনকে হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশে দিলেন...