নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- অজানা নম্বর দিয়ে হঠাৎই পুলিশের ফোন।তারপর বলে উঠলো,আপনার ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার হয়েছে।থানায় এসে তা নিয়ে যাবেন।ফোনে এমন বার্তা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক।সোমবার মালদহের চাঁচল থানায় সশরীরে হাজির হয় ওই শিক্ষক।চাঁচল থানা অফিসে আই.সি পুর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু নগদ টাকা হস্তক্ষেপ করে।ছিনতাই হয়ে যাওয়া টাকা হাতে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয় ওই শিক্ষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,শিক্ষকতার পর অবসর জীবনে চাঁচল নজরুল পল্লীর বাসিন্দা মোহাম্মদ আনোয়ারুল হোসেন একটি ক্ষুদ্র কন্সট্রাকশনের দোকান চালান।দোকানটি চাঁচল-হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নং জাতীয় সড়কের পূর্ত দফতরের পাশেই অবস্থিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত কয়েকমাসে ওই পৌঢ় ব্যাঙ্ক থেকে এক লক্ষ পঁচানব্বই হাজার টাকা তুলে নিয়ে যান। দোকানে গিয়ে সাটার খোলার সময় টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।তা সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়ে।পুলিশ জানায়,অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়।
নগদ ১০৫০০০(এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা) উদ্ধার হয়েছে।সেই টাকা আদালতের নির্দেশে সোমবার ওই শিক্ষকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে চাঁচল পুলিশের তরফে।ঘটনায় আরোও দুজন দুষ্কৃতি জড়িত রয়েছে।তাদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে।শীঘ্রই পুলিশের জালে আসবে এবং বাকি টাকা উদ্ধার হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
টাকা হাতে পেয়ে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ারুল হোসেন।তিনি জানান,উর্দধারীরা সমাজের প্রকৃত রক্ষক সেটা আমি নিজেই প্রমাণ পেলাম।চাঁচল থানার পুলিশকে কুর্নিশ জানায়,তবে শুধু তিনি নন,টাকা উদ্ধারের ঘটনায় প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিয়েছে চাঁচলবাসীও।