পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূকে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলে শাশুড়িকে কাছে বেঁধে মারধর স্থানীয়দের, চাঞ্চল্য এগরার নয়াপাড়াতে।

0
337

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  বছর পনেরো আগে দাম্পত্য জীবন শুরু হয়েছিল। শেষ পরিণতি হলো মৃত্যুতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের নয়াপাড়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়াপাড়া গ্রামের মৃনালকান্তি মান্নার সঙ্গে বারাসাতের মৌসুমী মান্নার বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকতো। তা নিয়ে মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতে বহুবার সালিসি সভাও হয়। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি। গত ৬ মাস আগে মৌসুমী মান্না(৩২) শশুর বাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই পানিপরুলে তাঁর মাসির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তাঁর পরে শশুর শাশুড়ির কথা মতো পুনরায় বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু গত রবিবার থেকে পারিবারিক বিবাদ চরমে ওঠে। এর পরে গত সোমবার রাতে নয়াপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে আর্তনাদের শব্দ যায় প্রতিবেশীদের কানে। এর পরে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান যে, বাড়ির বারান্দায় মৌসুমীকে গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় ঝুলতে। খবর দেওয়া হয় এগরা থানার পুলিশকে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ মৃতার স্বামী মৃনালকান্তি মান্নাও শাশুড়ি শিপ্রা মান্না দুজনে মিলেই পরিকল্পনা করে খুন করেছে। মঙ্গলবার বেলার দিকে ক্ষোভে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়ে শিপ্রা মান্নার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি অভিযুক্ত মৃতার শাশুড়ি শিপ্রা মান্নাকে গাছে বেঁধে রেখে বেধাড়ক মারধর করে। পাশাপাশি স্থানীয়দের প্রাথমিক জেরায় অভিযুক্ত তাঁর বৌমাকে মেরে ফেলার কুবুল করেছে। স্থানীয়রা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নয়াপাড়াতে কয়েক ঘন্টা বিক্ষোভ দেখান। অবশেষে ঘটনাস্তলে এগরা থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এর পরেই বিক্ষোভ প্রশমিত হয়। মৃতার বছর (১২) এক মেয়ে ও বছর (৬) এক ছেলে রয়েছে। উভয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েছে। তবে মৃতের স্বামী পলাতক। কিন্তু থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গেছে।